চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

করোনার চতুর্থ ডোজ নিতে হবে কিনা, তা দ্রুত জানানো হবে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, করোনা ভাইরাসের বুস্টার ডোজ নেয়ার পরে চতুর্থ ডোজ নিতে হবে কিনা সে বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গবেষণা চলমান রয়েছে।

বুস্টার ডোজ নেয়ার পরে শরীরে কি পরিমাণ এন্টিবডি থাকে সে সম্পর্কিত চলমান গবেষণার ফলাফল শীঘ্রই জানানো হবে। গবেষণা প্রাপ্ত ফলাফলের উপর ভিত্তি করে চতুর্থ ডোজ নিতে হবে কিনা সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার ২ আগস্ট  সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লকে বেসিক সায়েন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদ আয়োজিত ‘রিসার্চ প্রোটোকল: ইথিক্যাল অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিক্যাল ইস্যুজ’ সম্পর্কিত দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কর্মশালায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ শিক্ষক ও ৫৮ জন রেসিডেন্ট শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

তিনি বলেন, বেসিক সায়েন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদের অনেক কিছু করার আছে। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা ভাইরাসের এন্টিবডি, জেনোম সিকোয়েন্সিং নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে একাধিক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি আরও গবেষণার ক্ষেত্রে রোগী ও জনকল্যাণ সম্পর্কিত নতুন নতুন গবেষণায় মনোনিবেশ করতে হবে। আগামী ২৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা দিবস উদযাপন করা হবে। ভালো গবেষণা ও থিসিসের জন্য এওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

বিশেষ অতিথি সম্মানিত উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন বলেন, বিশ্ব র‌্যাংকিং এ বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে গবেষণায় উৎকর্ষ আনয়ন করতে হবে। বছরব্যাপী গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বেসিক সায়েন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শিরিন তরফদার বলেন, আধুনিক বিশ্বায়নের এই যুগে চিকিৎসা বিজ্ঞান হয়ে উঠেছে এভিডেন্স বেইজড মেডিসিন (ইভিএম), আর এই এভিডেন্স বেইজড চিকিৎসা দিতে হলে প্রথমে দরকার গবেষণা। এই জন্য প্রত্যেক চিকিৎসকগণকে পোস্টগ্রাজুয়েট কোর্সের ক্ষেত্রে বেশি বেশি রিসার্চ মেথোডলজি অধ্যয়ন অত্যাবশ্যকীয়। বিশেষ করে পোস্ট গ্রাজুয়েট ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ রিসার্চ করতে প্রাথমিকভাবে রিসার্চ প্রোটোকল কিভাবে তৈরি করতে হবে এবং এর পরিসংখ্যান পদ্ধতি কি ধরণের হবে সেই বিষয়ে গভীর প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেসিক সায়েন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ডা. খন্দকার মানজারে শামীম, বায়োকেমিস্টি ও মলিকুলার বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।