ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকুল বোসের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।
শনিবার রাতে ৯০’এর সর্ব দলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতা শফী আহমেদের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মুকুল বোসের গভীর শোক জানাচ্ছে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছে সংগঠনটি।
ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা আখতারুজ্জামান, মুনির উদ্দিন আহমদ, আবুল হাসিব খান, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ফজলে হোসেন বাদশা, আনোয়ারুল হক, আতাউর রহমান ঢালী, এম.এ. জলিল, নুরুল কবীর, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আসাদুল্লাহ তারেকসহ অন্যান্যরা গভীর শোক শ্রদ্ধা জানায় ও তার আত্মার শান্তি কামনা করে শোক বইয়ে সই করেন।
শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ভারতের চেন্নাই অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মুকুল বোস।মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৬৮ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
মুুকুল বোসের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতিও গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। তাকে ১ জুন রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কাউন্সিলের প্রথমে মুকুল বোসকে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়। কিছুদিন পরে তাকে উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য করা হয়।
মুকুল বোস আওয়ামী লীগের একজন ত্যাগী নেতা হিসেবে তৃণমূল স্তরের নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। এর আগে তিনি দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা-পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করে আন্দোলন সংগ্রামে প্রথমসারির একজন সংগঠক হিসেবে মুকুল বোসের অবদান সবসময় স্বীকার্য। মুকুল বোস ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের প্রথমসারির একজন সংগঠক ছিলেন।