চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

শিশুর অতিরিক্ত ওজনের কারণ অলসযাপন

বর্তমান সময়ে অতিরিক্ত ওজন বাড়ার সমস্যা অনেক দেখা যায়। বাচ্চাদের থেকে শুরু করে বড়দেরও এই সমস্যায় ভুগতে হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র এক গবেষণা অনুসারে, ২০২০ সালে ৫ বছরের কমবয়সি তিন জন শিশুর এক জনের মধ্যে অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা ছিল। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শুধু শরীরচর্চা বা ডায়েটের উপর ভরসা রাখলেই চলবে না। নজর দিতে হবে শিশুদের অবসর যাপনের সময়ের উপরেও।

গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুদের মধ্যে তাদের বয়স এবং লিঙ্গভেদে ওজন কম বেশির পরিমাণ ভিন্ন।

Bkash

গবেষণায় বলা হয়েছে, বয়স এবং উচ্চতার তুলনায় দেহের ওজন অতিরিক্ত হারে বেড়ে যাওয়াকেই সাধারণত স্থূলতার পর্যায়ে ধরা হয়। এই অতিরিক্ত ওজনের কারণে হার্টের সমস্যা, রক্তে শর্করার ভারসাম্য, মানসিক সমস্যা এমনকি, অল্প বয়সে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। বর্তমান সময়ে এই সমস্যার একটি অন্যতম কারণ কোভিড পরিস্থিতি। কোভিড কালে অবসর সময় বাসায় থাকার জন্য এই সমস্যা এতো দেখা যাচ্ছে। অবশ্য বংশগত কারণেও কম বয়সে অনেকেরই ওজন বেড়ে যেতে পারে।

সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক সেখানকার ৮ থেকে ১০ বছর বয়সি শিশুদের মধ্যে বাড়তে থাকা এই অতিরিক্ত ওজনের কারণ সম্পর্কে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন। শিশুদের অবসর সময়ে এবং বডিমাস ইনডেক্সের জন্য তাদের অভিভাবকদের আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামো সমান গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তাঁরা। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশুস্বাস্থ্যের শিক্ষক লুই বাওর বলেন, ‘এই সমস্যার মোকাবেলা করতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকা যথেষ্ট জরুরি।’

Reneta June

শিশুদের খাদ্যাভ্যাসও একটি কারণ হতে পারে অতিরিক্ত ওজনের। আজকাল শিশুরা শাক-সবজি খেতে পছন্দ করে না। ভাজাভুজি, মিষ্টি জাতীয় খাবার, বাইরের খাবারই তাদের বিশেষ পছন্দ। এই ধরনের খাবারগুলি সব বয়সের মানুষের জন্য ক্ষতিকর। চিনিযুক্ত পানীয়, পিৎজা, বার্গার, চিপসের মতো বাইরের খাবার সন্তানের রোজের খাদ্যতালিকায় যাতে না থাকে, সে দিকে খেয়াল রাখতেই হবে। কারণ, এই খাবারগুলি অতিরিক্ত ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।

বিজ্ঞাপন

Nil Joler Kabbo
Bellow Post-Green View