মাদারীপুরে সাপে কাটা রোগী শিশু নুসাইবাকে প্রতিষেধক অ্যান্টিভেনাম না দিয়ে ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়েছে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক, এতে ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি পায়ের বাঁধনও খুলে দিয়েছে বলে অভিযোগ নুসাইবার পরিবারের।
হাসপাতালে অ্যান্টিভেনাম থাকলেও তা না দেয়ার কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. মো. ফাইজুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে জানান জেলার সিভিল সার্জন। অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিচার দাবি করেছে শিশু নুসাইবার পরিবার।
নুসাইবা আক্তার, বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বাবা আসাদুল নুসাইবার জন্মের ১ বছর পর পাড়ি দেন ইটালিতে। দেড় বছর পর মেয়ের মৃত্যুর সংবাদে বাড়ি এসে সেই আদরের মেয়েকে দাফন করতে হয়েছে তাকে। ডাক্তারের অবহেলায় মেয়ের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না বাবা আসাদুল ফকির।
বাড়ির পাশেই নানা বাড়ি। তাই যখন তখন চলে যেত নানা বাড়ি। শনিবার (২৬ আগস্ট) সকালে নানা বাড়ি যায় নুসাইবা। সেখানেই বিষাক্ত সাপ তার পা কামড়ে দেয়। সাথে সাথে নানা-নানীকে বললে তারা পায়ের হাটুর উপরে একটি বাঁধন দিয়ে দ্রুত নুসাইবাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার ডা. ফাইজুর রহমান অ্যান্টিভেনম না থাকার কথা বলে তাদের দ্রুত ঢাকা অথবা ফরিদপুর নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেই সাথে নুসাইবার পায়ের বাঁধন খুলে দেয় ডাক্তার। ঢাকা নেয়ার পথে শিশু নুসাইবা মারা যায়। ডাক্তারের অবহেলা ও দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ করে নুসাইবার পরিবার।
অভিযুক্ত ডা. ফাইজুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম আছে বলে জানান জেলার সিভিল সার্জন। কিন্তু কেন শিশু নুসাইবাকে ডা. মো. ফাইজুর রহমান অ্যান্টিভেনম দেয়নি, তা তিনি জানেন না বলেও জানান। তবে অভিযুক্ত ডাক্তার ফাইজুর রহমানকে কারণ দর্শনোর নোটিশ দেয়ার কথা বলেন তিনি।
ডাক্তারের অবহেলায় আর কারও যেন মৃত্যু না হয় সেদিকে সরকার নজর দিবে এবং বিনা চিকিৎসায় নুসাইবার মৃত্যু হওয়ায় দায়ী ব্যক্তিদের বিচার দাবি শিশুটির পরিবার।