চলচ্চিত্রের কমেডিয়ান চিকন আলী আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চান। এ জন্য তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ‘নওগাঁ-৩’ (মহাদেবপুর -বদলগাছি) আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু যাচাই-বাছাইয়ে শেষ সময়ে এসে চিকন আলীর প্রার্থীতা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে থেমে থাকবেন না এই কৌতুক অভিনেতা। সোমবার সন্ধ্যায় চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে চিকন আলী জানান, প্রার্থীতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনার বরাবর আপিল করবেন। দরকার পড়লে হাইকোর্টে আপিল করবেন।
চিকন আলী জানান, গত ত্রিশ বছর যাবত তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থক। তার স্ত্রী স্থানীয় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান। দল থেকে মনোনয়ন পাবেন না জেনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু শুরুতেই বাধার মুখে পড়লাম। অভিনেতা হিসেবে আমি সারাদেশের, কিন্তু নেতা হয়ে নির্দিষ্ট অঞ্চলের জনগণের কাছাকাছি যেতে চেয়েছিলাম।
হঠাৎ কেন নির্বাচনে অংশ নিতে হলো? চিকন আলী বলেন, কসম দিয়ে মন থেকে বলছি, আগে সিনেমা করতাম বছরে ৩০/৪০টি। এখন বছরে করছি ২/৪টি। তাহলে চলবো কীভাবে? সংসদ সদস্য হতে পারলে মাসিক ভাতা পেতাম। আমি অভিনেতা মানুষ। রিক্সা তো আর চালাতে পারি না। সম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই বলে নির্বাচন করতে চাইলাম। তবে আমি যে একেবারে খারাপ অবস্থায় আছি এমনটা নয়। খারাপ থাকলে বাড়ি করতে পারতাম না। আমি কৃষি কাজ করতাম। বাবার ছয় বিঘা জমির ধান, আলু একাই চাষ করতাম। এ কারণে আমি সাধারণ মানুষদের চাওয়াটা ভালোভাবে বুঝি।
অনেকটা চুপিসারে নমিনেশন তুলেছেন কিনা জানতে চাইলে চিকন আলী বলেন, ফেসবুকে জানিয়ে লাভ কী? মানুষ হিরো আলমের সঙ্গে তুলনা করে গালমন্দ করবে। তার চেয়ে আমি যেখানে নির্বাচন অংশ নিতে চাচ্ছি সেখানে অনেকদিন থেকে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। যারা আমার ভোটার তারা জানলেই হলো।
১৮ বছর আগে ‘রঙিন চশমা’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন চিকন আলী। এরপর সুলতান, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াসহ দুই শতাধিক চলচ্চিত্রের ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। তবে আলোচনা আসেন শাকিব খানের ‘মনে প্রাণে আছো তুমি’ চলচ্চিত্র দিয়ে। এরপর থেকে নতুন চলচ্চিত্র মানেই ছিল চিকন আলীর কমেডি!