নেপালের বিমানে ওঠার আগেই কথা দিয়েছিলেন দলকে ফাইনাল ফাইনাল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার। মেয়েদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সে ওয়াদা অনায়াসেই পূরণ করে ফেললেন কোচ গোলাম রব্বানি ছোটন। তবে এখন চোখটা শিরোপার দিকে। ট্রফি জিতেই দেশে ফিরতে চান ৫৪ বর্ষী কোচ। শুক্রবার ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন তিনি।
‘আমাদের লক্ষ্য ছিল ফাইনাল খেলা। কাল মেয়েদের বলেছিলাম প্রথম ১৫ মিনিটে গোল পেলে আমাদের জন্য কাজ সহজ হয়ে যাবে। শুরুতেই গোল পেলাম, কিন্তু পরে এত গোল হবে সেটা আমার ভাবনায় ছিল না। এটা সেমিফাইনাল ম্যাচ। আমি বলেছি সুযোগ আসলে কাজ লাগাবে। ভুটান ভালো খেলে আসছে। ম্যাচ জেতাটা জরুরি ছিল। ঢাকা থেকে কথা দিয়ে এসেছিলাম ফাইনালে যাব। সেটা পেরেছি।’
চলতি আসরের আগে মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে একবারই ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ, ২০১৬ সালে। প্রায় ৬ বছর পর এ আসরে আবার শিরোপার মঞ্চে উঠেছে সাবিনা খাতুনের দল, তাও ভুটানকে ৮-০ গোলের ব্যবধানে উড়িয়ে। মেয়েদের এমন অর্জনে যারপরনাই খুশি কোচ গোলাম রব্বানি ছোটন। তাই অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি শিষ্যদের ভূয়সী প্রসংশা করতেও ভুললেন না কোচ।
‘আমি আমার মেয়েদের অভিনন্দন দিতে চাই। ওরা এই ম্যাচ জেতার জন্য বদ্ধপরিকর ছিল। যে পরিকল্পনা ছিল, সেটা ওরা মাঠে করে দেখিয়েছে। দুর্দান্ত ম্যাচ খেলেছে আজ। চার ম্যাচেই ভাল ব্যবধানে জিতেছি আমরা।’
বদলি নেমে ভুটান ম্যাচে গোল করেছেন ঋতুপর্না চাকমা, তহুরা খাতুন। আর বদলি নেমেছিলেন ডিফেন্ডার নিলুফা ইয়াসমিন নীলা, ফরোয়ার্ড শামসুন্নাহার জুনিয়র ও স্বপ্না রানী। সবার পারফরম্যান্সেই খুশি ছোটন। প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণ হওয়ার পর এখন নজরটা যে শিরোপার দিকে সেটাও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন কোচ।
‘গ্রুপ পর্বে মালদ্বীপ, পাকিস্তান ও ভারতের সঙ্গে দুই দিনের ব্যবধানে প্রতিটি ম্যাচ হয়েছে। এজন্য তাদের তুলে নিয়ে নতুনদের সুযোগ দিয়েছি। তাদের দেখে নিতে চেয়েছি। কাল সবার অনুশীলনে ট্রাই করেছি। ম্যাচেও তাদের সুযোগ দিতে চেয়েছিলাম। দিয়েছি এবং সবাই ভালো খেলেছে। গত ম্যাচে জেতার পর স্যালুট দিয়েছিলাম মেয়েদের। প্রথম লক্ষ্য ছিল ফাইনাল, সেটা পূরণ হয়েছে। এখন ট্রফি জিততে চাই। এরপর উদযাপন করতে চাই।’