২০১৬ সালে ৩৫ জনের অনেকটা অগোছালো একটি গ্রুপ নিয়ে লড়াই শুরু করেছিলেন। জোর দেন বয়সভিত্তিক বিভিন্ন টুর্নামেন্টের দিকে। মেয়েরা সাফল্য এনে দিয়েছেন সবখানে। তাতে কোচের মন পূর্ণ হয়নি। দরকার ছিল বড় সাফল্যের। শুরু করলেন আরও প্রতিভা খোঁজার। চ্যাম্পিয়নদের কোচ গোলাম রব্বানি ছোটনের সেই ক্যাম্প এখন ৭০ জনের বহর।
মূলত এই ক্যাম্পকেই সাফল্যের টার্নিং পয়েন্ট বলছেন ৫৪ বর্ষী কোচ। ক্যাম্পের সহায়তায় সাফের মতো বড় টুর্নামেন্ট জয় সম্ভব হয়েছে, দেশে ফিরে বললেন ছোটন।
‘২০১৬ সালে আমাদের ক্যাম্প শুরু হয় ৩৫ জন নিয়ে। সেই পথচলায় এখন আমাদের ক্যাম্পে ৭০ জনের মতো আছে।’
বয়সভিত্তিকে বড় বড় সাফল্য এলেও এতদিন ধরে জাতীয় দলে কোনো সাফল্য পাচ্ছিলেন না ছোটনের শিষ্যরা। মেয়েদের উপর তবু বিশ্বাস হারাননি কোচ। প্রাপ্তবয়স্ক হলে তার মেয়েরাও বড় টুর্নামেন্ট জিতবেন, এমন বিশ্বাস সবসময়ই ছিল তার।
‘আমাদের বিশ্বাস ছিল মেয়েদের বয়স যখন ১৯-২০ এর মতো হবে, তখন আমরা ভালো কিছু করব। সে বিশ্বাস নিয়েই আমরা গিয়েছিলাম। যদিও আমাদের লক্ষ্য ছিল ২০২৪-২৫ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। মেয়েরা তাদের দুর্দান্ত প্রতিভা দেখিয়ে এখনই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।’ বাফুফে ভবনে প্রেস কনফারেন্সে বলেন ছোটন।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ছাদখোলা বাসে বিমানবন্দর থেকে রাজসিক যাত্রা শেষে বাফুফে ভবনে পৌঁছান চ্যাম্পিয়নরা। দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটির ভবনে পৌঁছাতে কৃষ্ণা-সাবিনাদের লেগেছে চার ঘণ্টারও বেশি। দীর্ঘ যাত্রায় ছিল না ক্লান্তির ছাপ। হাসিমুখে ট্রফি নিয়ে সাবিনা-মারিয়ারা বাফুফে কার্যালয়ে ঢুকেছেন সমর্থকদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে।
বাফুফে ভবনে মেয়েদের বরণ করে নেন ফেডারেশন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৬ ও মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল দলের সদস্যরাও। সাড়ে ৮টায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সাবিনা-ছোটনরা।