চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

অগ্নিসন্ত্রাস বিরোধী প্রগতিশীল নেতৃত্ব চায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা

আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন আগামী ২৪ ডিসেম্বর। এর আগে ৮ ও ৯ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে ঘিরে উচ্ছ্বাস, উদ্দীপনা বিরাজ করছে সাধারণ কর্মীসহ ছাত্রলীগের তৃণমূলে। ৭৪ বছরের পুরোনো এই সংগঠনটির পদপ্রত্যাশী ও নেতা-কর্মীদের প্রত্যাশা, আগামীতে নেতৃত্বে আসবে পরীক্ষিত, সাংগঠনিকভাবে যোগ্য, সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে আপসহীন যোগ্য নেতৃত্ব।

পদপ্রার্থীদের ভাবনা
ছাত্রলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে অন্তত ১০ জন পদপ্রত্যাশীর সাথে চ্যানেল আই অনলাইনের কথা হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে চেষ্টা করেছেন। জানান, বিগত কয়েক বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। যারা ভালো কাজ করছে তাদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এবারের পদপ্রার্থীদের মধ্যে যারা গণজাগরণ আন্দোলনে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে মাঠে ছিলেন, একই সাথে ২০১৪ সালে বিএনপি- জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মাঠে লড়াই করেছেন তাদের মধ্যে থেকে নেতৃত্ব আসবে বলে প্রত্যাশা নেতাকর্মীদের।

ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বরিকুল ইসলাম বাধন বলেন, ‘নীতি এবং নেত্রীর প্রশ্নে আপোসহীন, উদার গণতন্ত্রিক, সৃজনশীল , সংস্কৃতিবান নেতৃত্ব ছাত্রলীগে প্রয়োজন। মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াকু বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ছাত্রলীগের ঐহিত্যকে এগিয়ে নিতে পারবে।’

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মেহেদী হাসান সানী বলেন, ‘২০১৩-১৪ সালে নির্বাচনকালীন ও অগ্নি সন্ত্রাসের সময়ে হলে রাজনীতি করার জন্য কর্মী পাওয়া যেত না। সুবিধাবাদিরা গা ঢাকা দিয়ে থাকত। আমরা এবারের সম্মেলনে প্রগতিশীল ও দুর্দিনে পরীক্ষিত কর্মীদের মধ্যে থেকে নেতা দেখতে চাই। সম্মেলন নির্বাচনী বৈতরণী পার হবার সহায়ক হবে। বর্তমান সময়ের অন্যতম কঠিন চ্যালেঞ্জ অনলাইনের গুজব ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে অবস্থান। আমরা এমন নেতৃত্ব চাই যারা অনলাইন ও রাজপথে সমানভাবে অপপ্রচার মোকাবেলা করতে পারবেন এবং সরকারের উন্নয়নগুলো নিজেদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরবেন।’

ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী বলেন, ‘আগামীতে এমন নেতৃত্ব আসুক, যে নেতৃত্ব ছাত্রসমাজকে সাথে নিয়ে উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প উপড়ে ফেলতে কাজ করবে। মুক্তিযুদ্ধ ও শেখ হাসিনার প্রশ্নে যে নেতৃত্ব আপোষহীন থাকবে সেই নেতৃত্ব আসুক। নেতৃত্ব আসুক তৃণমূল কর্মীদের আস্থার ঠিকানা হয়ে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগের উপ তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এহসান উল্লাহ পিয়াল বলেন, ‘অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী, ছাত্রলীগকে হৃদয়ে ধারণ ও অন্তরে লালন করে আগামীর উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা আছে, এমন নেতৃত্ব চাই।’

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান তুষার বলেন,‘কঠিন পরিস্থিতিতে যারা আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে লড়াই করতে পারবে এবং একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারবে তাদের মধ্যে থেকে নেতৃত্ব আসা প্রয়োজন।’

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তিলোত্তমা শিকদার বলেন, ‘ছাত্রলীগ যেকোন দুর্দিনে মানুষের পাশে থেকেছে। যারা অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সম্মুন্নত রেখে সংগঠনকে নেতৃত্ব দিতে পারবে তাদের শীর্ষ নেতৃত্বে প্রয়োজন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির আগে ও পরে বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মাঠে ছিলো ও বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনীতি করেছে এবার তাদের মূল্যায়ন জরুরী। এমন নেতৃত্ব আসুক, যার ‘একহাতে থাকবে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী, আরেক হাতে রণতূর্য’। আদর্শিক ও চেতনাভিত্তিক এবং পারিবারিকভাবে আর্দশের পরীক্ষায় যারা জয়ী হয়ে এসেছেন তাদের নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ছাত্রলীগ এমনটাই প্রত্যাশা তিলোত্তমার।

উপ বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক সবুর খান কলিন্স বলেন, ‘জনগণের কল্যাণে কাজ করার পাশাপাশি দেশ ও ছাত্রসমাজকে বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যোগ্য এমন নেতা ছাত্রলীগে প্রয়োজন।’

কথা হয় জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাবেক জিএস কাজল দাসের সাথে। তিনি বলেন, ‘সামনে নির্বাচন, তাই পরিচ্ছন্ন ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার নেতা আমাদের প্রয়োজন। নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেখানো পথে আমাদের চলতে হবে। নেত্রীর প্রশ্নে ছাত্রলীগ কর্মীদের কোনো আপোস নেই।’

ছাত্রলীগের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক আল আমিন রহমান বলেন, ‘সাহসী এবং তেজদীপ্ত নেতৃত্ব প্রয়োজন। বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে এবং যেকোন ধরনের নাশকতা ঠেকাতে রাজপথে সাহসী ভূমিকা পালন করবে এমন নেতৃত্ব ছাত্র সমাজ প্রত্যাশা করে৷’

স্কুল ছাত্র বিষয়ক উপ-সম্পাদক শাকের আহমেদ আল আমিন বলেন, ‘৩০তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে এমন নেতা চাই যে হবে কর্মী বান্ধব, আদর্শের প্রশ্নে আপসহীন। যেকোন অবস্থায় যে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারবে,সংগঠনকে আরও গতিশীল ও মর্যাদাসম্পন্ন করবে।’

ছাত্রলীগের উপ-সম্পাদক নেয়ামত উল্লাহ বলেন, ‘এবারের সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয় ও আদর্শিকভাবে পরীক্ষীত নেতৃত্ব চাই। ’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলছেন, ‘যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান, জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ে তোলার দায়িত্বকে আমানত মনে করেন, তারাই নেতৃত্বে আসবেন বলে মনে করি। ’

কেন্দ্রীয় উপ-সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘‘রূপকল্প ২০৪১’’ বাস্তবায়ন ও ‘‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব’’ উপযোগী নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে সক্ষম এবং সাংগঠনিক জবাবদিহিতার সাথে সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে রাজপথে থাকবেন এমন নেতৃত্ব প্রত্যাশা করি। ইতিমধ্যে যারা সামাজিক, সাংস্কৃতিক, মানবিক সব উদ্যোগ ও কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সক্ষমতার পরিচয় রেখেছেন তারা প্রাধান্য পাবেন আশা করি ’

ছাত্রলীগ কর্মীদের ভাবনা
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে নতুন নেতৃত্বের গুণাবলি নিয়ে ভাবছেন কর্মীরাও। কর্মীবান্ধব ও সাংগঠনিকভাবে দক্ষ এবং অসাম্প্রদায়িকতার বিষয়ে পরীক্ষিত নেতৃত্ব চান কর্মীরা। একইসঙ্গে বয়সের দিক থেকে তরুণ নেতৃত্ব নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। কর্মীবান্ধব নেতা এলে সহজেই নেতার সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন। আঞ্চলিকতা পরিহার করে যোগ্য ও ত্যাগীদের মূল্যায়নের প্রত্যাশা সাধারণ কর্মীদের।

ছাত্রলীগ কর্মী মোহাম্মদ হীরা সরকার বলেন, ‘মেধা মনন ও দেশ গড়ার স্বপ্নের কথা অনেক ছাত্রনেতাই বলে, কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে তাদের আচরণ একেবারেই বিপরীত৷ কথা,কাজ ও আদর্শে যারা অনড় থাকবে আগামীতে তাদেরকেই নেতৃত্বে দেখতে চাই৷ কর্মীবান্ধব ছাত্র নেতা পাওয়া ভীষণ দুষ্কর! ফেসবুক কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে নিজেকে মানবিক বললেও বাস্তবে ঘটছে ভিন্ন কিছু। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রশ্নে, মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে ও দেশের স্বার্থের প্রশ্নে যারা আপোষহীন তারাই আগামীতে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দেবে এমনটাই আশা করি।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘বয়সের সিনিয়ররা রাজনীতি করেন। অনেকের বয়স চলে যায়। কেউ ৩০ এর পর নেতা হয়, কেউ আরও বেশিতে। অনেকেই এনার্জি হারিয়ে ফেলেন, ঠিকমতো ঘুম থেকে উঠেন না, মধুর ক্যান্টিন বা দলীয় কার্যালয়ে ঠিকমতো আসেন না। এমন কেউ নেতৃত্বে আসলে নির্বাচন পার করা কঠিন হয়ে যাবে।’

পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি প্রিয়াংকা প্রভা হালদার বলেন, ‘বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ‍্যের অধিকারী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃত্ব সৎ, নীতি-নৈতিকতা সম্পন্ন নেতা দরকার। তৃণমূল কর্মীবান্ধব এবং ছাত্রসমাজের ন‍্যায‍্য দাবি আদায়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবেন এমন নেতৃত্ব প্রত‍্যাশা করি।’

শেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানজিদ আল প্রত্যেয় বলেন, ‘যারা তৃণমূলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবেন এবং ছাত্র রাজনীতির চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এসেছেন তাদের মধ্যে থেকে শীর্ষ নেতৃত্ব আসলে আমরা খুশি হবো।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী আব্বাস বলেন, ‘আমরা এমন নেতৃত্ব চাই যিনি সাংস্কৃতিক ভাবে আদর্শের লড়াই করবেন। সামনের নির্বাচনে ছাত্রলীগকে গুরুদায়িত্ব পাালন করতে হবে। তাই আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনার, সাংস্কৃতিক মনোভাবে তরুণ নেতৃত্ব চাই।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রবিউল ইসলাম জানান, ‘শুদ্ধ আওয়ামী পরিবারের সন্তানদের মধ্য থেকে সাংগঠনিক দক্ষতা আর মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন যারা দীর্ঘদিন থেকে সংগঠনের জন্য শ্রম-ঘাম ঝরিয়েছে তাদেরকেই নেতৃত্বে দরকার।’

ছাত্রলীগের বয়স সীমা বাড়ানো হবে কি না
এবারের সম্মেলনে ছাত্রলীগের বয়সসীমা ছাড় দেয়া হবে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দীন নাসিম বলেন, বয়সের বিষয় নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এটি দলীয় সভানেত্রীর ওপর নির্ভর করছে।

দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক জানান, বয়সসীমা বৃদ্ধি নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্ধারণ করবেন। গত সম্মেলনে বয়স এক বছর বাড়ানো হয়েছিল।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সব সদস্য ও প্রতিটি জেলা থেকে নির্বাচিত ২৫ জন কাউন্সিলর প্রতিনিধি হিসাবে গণ্য হবেন। এই কাউন্সিলররা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই পদ (সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক) নির্বাচিত করেন।

২০১১ সালে ২৭তম এবং ২০১৫ সালে ২৮তম সম্মেলনের মাধ্যমে গঠনতন্ত্রের নিয়মানুযায়ী সংগঠনটির শীর্ষ দুই পদে নির্বাচন করা হয়। তবে এসব কমিটিতে পদপ্রার্থী ছিল হাতেগোণা। সংগঠনটির তৎকালীন নেতৃত্বের অভিযোগ, এসব সম্মেলনে সাবেক নেতৃত্বদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কাউন্সিল করা হতো। এতে নিজেদের প্রার্থীরাই নেতা নির্বাচিত হতো।

এই অভিযোগটি আমলে নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২০১৮ সালে ২৯তম সম্মেলনে সিন্ডিকেটের প্রভাব ভেঙে নিজেই নেতৃত্ব গঠন করেন । ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের পর ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ মেয়াদ শেষ করার আগেই নানা অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর তারা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

এরপর সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান আল নাহিয়ান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য। তিন মাস ভারপ্রাপ্ত থাকার পর ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তাদের ভারমুক্ত করে পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের মেয়াদকাল দুই বছর। আর মেয়াদকালের মধ্যে সম্মেলন আয়োজন করার নিয়ম থাকলেও তা করতে পারেননি আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টচার্যের কমিটি।