চ্যাটজিপিটি সহ সকল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিকে নীতিমালার আওতায় আনার তাগিদ প্রদান করেছেন বহুল ব্যবহৃত এআই সেবা চ্যাটজিপিটির প্রধান স্যাম অল্টম্যান।
প্রযুক্তির সবশেষ চমক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের বিস্তারে একদিকে বিস্মিত বিশ্ব, অন্যদিকে আতঙ্কও আছে। তেমনই কিছু আশঙ্কার জবাব দিতে মার্কিন সিনেটে হাজির হন বহুল ব্যবহৃত এআই সেবা চ্যাটজিপিটি’র প্রধান স্যাম অল্টম্যান। সিনেটকে তিনি জানিয়েছেন, কোনো সন্দেহ নেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাই একদিন জলবায়ু পরিবর্তন ও ক্যান্সারসহ মানব সভ্যতার অন্যতম বড় সমস্যাগুলোর সমাধান দেবে। তবে এই প্রযুক্তির লাগাম টেনে ধরারও প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করেন অল্টম্যান।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিজ্ঞানীদের কাছে নতুন কিছু না হলেও, চ্যাটজিপিটি’র মতো সেবা একে পৌঁছে দিয়েছে মানুষের হাতের মুঠোয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসাইনমেন্ট থেকে শুরু করে অফিসের আবেদনপত্র এমনকি প্রেমপত্রও মুহূর্তে লিখে দিচ্ছে এআই। আবার লিখিত নির্দেশ থেকে ছবি বানিয়ে দিচ্ছে ডাল-ই, মিডজার্নি, স্টেবল ডিফিউশনের মতো সেবা। আর গবেষকরা এআইকে কাজে লাগাচ্ছেন চিকিৎসা বিজ্ঞান থেকে শুরু করে মহাকাশের কঠিন সমস্যা ও প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে।
এআই এর ব্যাবহারে দৈনন্দিন জীবনের কাজ যেমন সহজ হচ্ছে তেমনি বাড়ছে আশঙ্কা। এআইয়ের কারণে চাকরি হারাচ্ছেন মানুষ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে ভুয়া তথ্য ও ছবি প্রকাশ করে গুজব ছাড়ানোর ঘটনাও ঘটছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গডফাদার জেফরি হিনটন এতোটাই চিন্তিত যে, তিনি গুগল থেকে চাকরি ছেড়ে দিয়ে বলেছেন, পুরোপুরি না বুঝে এআই নিয়ে আর এগোনো উচিত হবে না। এমনই কিছু আশঙ্কা নিয়ে প্রশ্নোত্তরের জন্য মঙ্গলবার চ্যাটজিপিটি’র মূল প্রতিষ্ঠান ওপেন এআইয়ের প্রধান নির্বাহী হাজির হন মার্কিন সিনেটের সামনে।
সিনেটের আশঙ্কা, মার্কিন নির্বাচন ঘিরে এআই ব্যবহার করে গুজব ছড়ানো হতে পারে। এআইকে নিয়ন্ত্রণের পক্ষে মত দেন স্যাম অল্টম্যান। মার্কিন সিনেটের মতোই এআইকে নিয়ন্ত্রণের কথা ভাবছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। শিগগিরই এ বিষয়ে আইন প্রণয়নের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।