চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ট্রাউজার পরে খেলা যাবে না, বোঝাতেই দেড় মাস পার

পেছনের কারিগর কে? কি প্রসঙ্গ, কি নিয়ে আলোচনা, খুব অল্প ভেবেই ইদানীং গোলাম রব্বানি ছোটনের নামটা বলে দেয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশ নারী দলের সাফ শিরোপা উঁচিয়ে ধরার পর থেকে যেকোনো সাফল্যের গল্পে শুরুতেই যে আসছে এ কোচের নাম। কখনও কখনও প্রসঙ্গ ফুটবল না হলেও ক্ষতি থাকছে না, সাফল্যের গল্প মানেই যেন এখন অনুপ্রেরণার আরেক নাম ছোটন।

ছোটনের অধীনে দীর্ঘ দিনের কঠোর পরিশ্রমের শেষে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফিরেছেন সাবিনা-মারিয়া-কৃষ্ণারা। এই অবস্থায় আসতে খেলোয়াড়দের মতো অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়েছে লাল-সবুজদের কোচকেও। নারী ফুটবলাররা একের পর এক সামাজিক প্রতিবন্ধকতা পাড়ি দিয়ে এসেছেন। যাদের নিয়ে একসময় ছিল বিস্তর নেতিবাচক আলোচনা, এখন তাদের নিয়ে চলছে বন্দনা। এমন অনেক নারী ফুটবলারদের রক্ষণশীল মানসিকতার বাইরে আনতে কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে বাংলাদেশ কোচকেও।

বুধবার চ্যানেল আইয়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসেছিলেন সাফজয়ী বীরকন্যারা। দুপুর ১২টার কিছু আগে শিরোপাজয়ী দল জড়ো হয়েছিল চ্যানেল আই ভবনে। ফুলের চাদর পেরিয়ে, সংবর্ধনা, কেক কাটা-সহ হরেক আয়োজন শেষে জমে আড্ডার আসর। সেখানেই মনের দুয়ার খুলে দেন ছোটন।

‘২০০৯ সালে যশোর থেকে কয়েকজন মেয়ে ট্রেনিং করতে এসেছিল। মেয়েরা ট্রাউজার পরে ট্রেনিং করছিল। তাদের বোঝানোই যাচ্ছিল না যে ট্রাউজার পরে খেললে অসুবিধা হবে। দেড় মাস ধরে বোঝানোর পর তারা ট্রাউজার ছাড়তে শুরু করে। তাও সবাই একসাথে ছাড়েনি। দুই-তিনজন করে ছেড়েছিল।’

২০১২ সাল থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী দলের পথচলা। এএফসি আর ফিফার প্রেসক্রিপশনেই দল গঠন করতে হয়েছিল। সেই সময়গুলো কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না, জানালেন চ্যাম্পিয়ন কোচ।

‘তখন সামাজিক সমস্যা ছিল। ধর্মের দোহাই দিয়ে সমস্যা ছিল। বাবা-মায়েরা তাদের মেয়েদের ফুটবল খেলতে দিতে চাইত না। তারা মনে করতো মেয়ে ব্যথা পাবে। বেশি আঘাত পেলে হয়তো পরে তাদের বিয়ে হবে না।’