চ্যানেল আই’র ২৪ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে শুভেচ্ছাবাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, প্রতিষ্ঠার পর হতে চ্যানেল আই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে বিভিন্ন অনুষ্ঠান নির্মাণ ও প্রচার করে আসছে। দেশের কৃষি উন্নয়ন তথা গ্রামনির্ভর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অগ্রযাত্রায় চ্যানেল আই এর প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়।
তিনি বলেন, এছাড়া পরিবেশ ও প্রকৃতির সংরক্ষণ ও উন্নয়নেও চ্যানেলটি কাজ করে যাচ্ছে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন, নির্মল বিনোদন ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান প্রচারের পাশাপাশি দেশে-বিদেশে বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশে চ্যানেল আই অব্যাহত প্রয়াস চালিয়ে যাবে এ প্রত্যাশা করছি।
বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল আই এর চব্বিশ বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে তিনি দর্শকশ্রোতা, কলাকুশলী, শুভানুধ্যায়ীসহ চ্যানেল আই পরিবারকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, গণমাধ্যম জাতির বিবেক ও সমাজের দর্পণ। গণমাধ্যম সময়ের কথা বলে, অতীতের সাথে বর্তমানের যোগসূত্র স্থাপন করে এবং ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ের পথ দেখায়। গণমানুষের বঞ্চনা ও চাওয়া-পাওয়ার কথা তুলে ধরে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
আব্দুল হামিদ বলেন, গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম একে অপরের পরিপূরক। গণমাধ্যম সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে গঠনমূলক সমালোচনা, গণতন্ত্রকে শক্তিশালীকরণ, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং জনমত গঠনের মাধ্যমে সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধ রচনায় ইতিবাচক অবদান রাখে। অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে দেশের গণমাধ্যমসমূহ স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করছে। তবে স্বাধীনতার সাথে দায়িত্বও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমি আশা করি, গণমাধ্যমসমূহ দেশ ও জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে অধিকতর দায়িত্বশীলতার সাথে সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
তিনি বলেন, আমি চ্যানেল আই এর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।