নাটক, সিনেমার সমকালীন কিছু কিছু বিষয় নিয়ে মাঝেমধ্যেই নিজের অনুভূতির কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। আবারও তেমন একটি বিষয়ে নিজের ব্যক্তিগত মত জানালেন ‘তাকদীর’ খ্যাত এই অভিনেতা।
নাটক, সিনেমা কিংবা এরকম প্রোডাকশনগুলোর মালিকানা কার? প্রচারণা কার নামে চালানো উচিত, আর্টিস্ট নাকি পরিচালক না প্রযোজকের নামে? এসব বিষয় নিয়ে খুব একটা কথা হয় না। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরে ফেসবুকে সেসব বিষয়েই নিজের মত জানালেন এই অভিনেতা।
চঞ্চল বলেন, ‘ইদানিং দেখি দেশী বা বিদেশী ওটিটি প্লাটফর্মগুলোতে শিল্পীর নামে লেখা হয় ‘অমুকের নাটক বা ওয়েব সিরিজ’। যেহেতু শিল্পীদেরকেই দর্শকরা বেশী চেনেন, সেই ব্যবসায়িক সুযোগটা নেবার জন্য এরকম লেখা হচ্ছে। এবার বলুন তো, একটি নাটক বা সিনেমার মালিকানা কার? আসলে প্রডিউসারের। প্রচারের স্বার্থে যদি ডিরেক্টরের নাম যায়, তাও মেনে নেয়া যায়।
উদাহরণ দিয়ে চঞ্চল বলেন, গিয়াস উদ্দিনের সিনেমা ‘মনপুরা’ বা অমিতাভ রেজার ‘আয়নাবাজি’। কিন্তু যদি লেখা হয় চঞ্চল চৌধুরীর ‘তাকদীর’। আমি বলবো, এটা ঠিক নয়। ‘তাকদীর’ সৈয়দ শাওকী’র বা হইচইয়ের। আমি এতে অভিনয় করেছি মাত্র।
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, যার যার প্রাপ্তি তার তার হোক। নাম বিক্রি বন্ধ হোক। তারকার নাম ভাঙিয়ে প্রোডাকশন বিক্রি বা প্রচার বন্ধ হোক। নাটক বা সিনেমা টিম ওয়ার্ক।
তার এই ফেসবুক স্ট্যাটাসটি ইতোমেধ্যে বেশ সাড়াও ফেলেছে। বিশেষ করে নাটক, সিনেমার অনেকেই চঞ্চলের কথাগুলো শেয়ার করছেন। কলকাতার সৃজিত মুখার্জী চঞ্চলের কথাগুলো শেয়ার করে লিখেছেন ‘স্যালুট চঞ্চল চৌধুরী’।
এরআগে গেল মে মাসে চঞ্চল নাটকের পোস্টার নিয়েও নিজের অভিমত ব্যক্ত করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘যতোটা গুরুত্ব দিয়ে একজন ডিজাইনারকে দিয়ে ইদানিং নাটকের পোস্টার তৈরী হচ্ছে,বা নাটক/সিনেমার প্রোমো তৈরী হচ্ছে, সে তুলনায় মূল কাজ অর্থাৎ নাটক বা সিনেমা নির্মাণ,অধিকাংশ নির্মাতাগণ যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন না।’
এই সময়ের নির্মাতাদের উদ্দেশে চঞ্চল প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘প্রচার সর্বস্ব এই পোস্টার কি আসলেই আমাদের নাটকের মান তৈরীতে কোন ভূমিকা রাখতে পারছে? আমার এই প্রশ্নটা নির্মাতাদের কাছে।’