বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী হাসান আরিফের জন্মদিন উপলক্ষ্যে হাসান আরিফ স্মৃতি সংসদ আয়োজন করেছে ‘হাসান আরিফ অন্তরে মম’ আনন্দ অনুষ্ঠানের।
বৃহস্পতিবার ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের বকুল তলায় এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধন ও আলোচনা পর্বে সভাপতিত্ব করেন হাসান আরিফ স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক আবৃত্তিশিল্পী আজহারুল হক আজাদ। অতিথিবৃন্দ বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী হাসান আরিফ সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেন হাসান আরিফ ছিলেন প্রকৃত অর্থেই বাঙালি সংস্কৃতির একজন নিবেদিত প্রাণ যোদ্ধা। বাঙালি সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে একজন সামনের সারির কর্মী ছিলেন হাসান আরিফ। সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত সত্যিকারের সোনার বাংলা গড়ার মানসে হাসান আরিফ ছুটে বেড়িয়েছেন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। হাসান আরিফের বিশ্বাস ও আদর্শকে ধারণ করেই তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে যেতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে।
‘হাসান আরিফ অন্তরে মম’ অনুষ্ঠানে দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করেন হাসান আরিফের নিজের সংগঠন শ্রুতিঘর এছাড়া হাসান আরিফ নির্দেশিত প্রযোজনা ‘ঘুম নেই অতঃপর’ এর অংশবিশেষ পরিবেশন করেন আবৃত্তি সংগঠন স্বরব্যাঞ্জন। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন রফিকুল ইসলাম, ইকবাল খোরশেদ, রেজীনা ওয়ালী লীনা, মীর মাসরুর জামান রনি, নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলী, কোলকাতার আবৃত্তিশিল্পী বিপ্লব চক্রবর্তী। ঢাকার মঞ্চের আলোচিত নাটক বিনোদিনীর অংশ বিশেষ পরিবেশন করেন মঞ্চকুসুম শিমুল ইউসুফ। নৃত্য পরিবেশন করেন ওয়ার্দা রিহাব ও তার দল। সংগীত পরিবেশন করেন ফারহিন খান জয়িতা, প্রিয়াঙ্কা গোপ, দিলবাহার, মেহবুব। গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদ এবং সবশেষে বাউল সঙ্গীত পরিবেশন করেন বাউল দেলোয়ার ও তার দল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইটিআই বাংলাদেশ কেন্দ্র ও বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সভাপতি নাট্যজন বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সংস্কৃতিজন মফিদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সিনিয়র সহসভাপতি কবি ড. মুহাম্মদ সামাদ, সম্মিলিতি সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি লেখক গবেষক সংস্কৃতিজন গোলাম কুদ্দুছ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী মো. আহকাম উল্লাহ।