জার্মানির বার্লিনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে ১৮ অক্টোবর যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল-এর ৫৯তম জন্মদিন স্মরণে ‘শেখ রাসেল দিবস’ পালিত হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে, দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর উপস্থিতিতে, “শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক” এই প্রতিপাদ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
দিবসের শুরুতে সকলকে নিয়ে শেখ রাসেল-এর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রদূত পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দূতাবাস প্রাঙ্গনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এর মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের মিনিস্টার, কাজী মুহম্মদ জাবেদ ইকবাল এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর কাজী তুহিন রসুল।
এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল স্মরণে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন বলেন: শেখ রাসেলের সততা, বুদ্ধিদীপ্ততা ও নেতৃত্বের গুণাবলীর পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সাধারণ জীবনযাপনের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এই আদর্শ ধারণ করে নতুন প্রজন্ম বেড়ে উঠবে।
তিনি আরও বলেন, শেখ রাসেলের হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর নিকৃষ্টতম ঘটনা। তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু আছে তাঁর পবিত্র স্মৃতি।
রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন যে, প্রতিবছর ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস পালনের মাধ্যমে ভবিষ্যত বাংলাদেশের কর্ণধার শিশু-কিশোরদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ রাসেলের স্মৃতি অম্লান থাকবে। এভাবে বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুকে শেখ রাসেলের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে, যেন তারাই গড়ে তুলতে পারে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।
এরপর শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয় এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলসহ সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও দেশ ও জাতির জন্য শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।