চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ক্যান্সার প্রতিরোধে ভ্যাকসিন তৈরিসহ গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করতে হবে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিশু ক্যান্সার দিবস পালিত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিশ্বখ্যাত স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ক্যান্সার প্রতিরোধে ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে।

একই সাথে যাতে করে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায় সে বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম আরো জোরদার করতে হবে। স্টেমসেল থেরাপি নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন বাস্তবায়ন করতে হবে।

আজ বুধবার আন্তর্জাতিক শিশু ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু হেমাটোলজি অনকোলজি বিভাগের চিকিৎসকরা ৩১ শয্যার ওয়ার্ড নিয়ে ১০ হাজার শিশু রোগীকে সেবা দিয়েছেন, যা প্রশংসার দাবি রাখে।

এর আগে বিএসএমএমইউতে আন্তর্জাতিক শিশু ক্যান্সার দিবস-২০২৩ পালিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-ব্লকে ২য় তলায় মিলনায়তনে শিশু হেমাটোলজি বিভাগের উদ্যোগে “বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন ইন চিলড্রেন এন্ড ক্যান্সার ভ্যাকসিন ইন চাইল্ডহুড ম্যালিগন্যান্সি” শীর্ষক বৈজ্ঞানিক সেমিনার ও ডি- ব্লকের সামনে সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

সেমিনারে “বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন ইন চিলড্রেন” শিরোনামে প্রবন্ধ পেশ করেন নারায়না হেলথ সিটি ব্যাঙ্গালোর, ভারত থেকে আগত সিনিয়র কনসাল্টেন্ট ডা. সুনিল ভাট এবং “ ক্যান্সার ভ্যাক্সিন ইন চাইল্ডহুড ম্যালিগনেন্সি” শিরোনামে প্রবন্ধ পেশ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এর শিশু হেমাটোলজি এন্ড অনকোলজি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রেনেসা ইসলাম।

সেমিনারে বলা হয়, আজ ১৫ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব শিশু ক্যান্সার দিবস। প্রতি বছরই ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছেই। শিশুদের সাধারনত ব্লাড ক্যান্সার বা লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার হার অন্যান্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া থেকে বেশি। তবে এছাড়াও কিডনির টিউমার, লিভারের টিউমার, চোখের টিউমার, ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হওয়া শিশুর সংখ্যাও কম নয়। ওয়ার্ল্ড চাইল্ড ক্যান্সার এর হিসাব মতে বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৪ লক্ষ শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। দ্রুততম সময়ে সনাক্ত করা গেলে ও উন্নত চিকিৎসা পেলে শতকরা ৭০ ভাগ রোগী সেরে উঠতে পারে। উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে উন্নত দেশ গুলোতে ক্যান্সার থেকে সেরে উঠা রোগীর হার শতকরা প্রায় ৮০-৮৫ ভাগ।