শামীমা বেগমসহ যুক্তরাজ্যের তিন স্কুলছাত্রীকে সিরিয়ায় পাচারে নিজদেশের গোয়েন্দাদের জড়িত থাকার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে কানাডা।
কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সংবাদ মাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।
ব্রিটেনের এই সরকারি গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে দাবি করা হয়: দুই বান্ধবীকে নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে পালিয়ে সিরিয়ায় যাওয়া ‘আইএস–বধূ’ খ্যাত শামীমা বেগমকে পাচারে কানাডার এক গুপ্তচর জড়িত ছিলেন।
ট্রুডো বলেন: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে ও সৃজনশীল হতে হয়।আমরা আশা করি এ ক্ষেত্রে আইন মেনে চলা হয়েছে।আমরা সেটি খতিয়ে দেখার বিষয়টি নিশ্চিত করব।
২০১৫ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে শামীমা বেগম জঙ্গি সংগঠন আইএসের সঙ্গে জীবন কাটাতে আরও দুই বন্ধুর সঙ্গে সিরিয়ার উদ্দেশে যুক্তরাজ্য ছেড়ে চলে যান। ২০২০ সালের শুরুতে শরণার্থী শিবিরে তাকে পাওয়া যায়।
সিরিয়ায় তিনি এক আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেন এবং তিনটি সন্তানের জন্ম দেন। তার মধ্যে দুটি শিশু জন্মের পরই মারা যায়। তবে তার তৃতীয় ছেলেটি বেঁচে যায়।
সিরিয়ার শরণার্থী ক্যাম্পে বসবাসরত সম্প্রতি এক ছেলের জন্ম দেয়া শামীমা বর্তমানে যুক্তরাজ্যে ব্রিটেনে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
কিন্তু আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তাকে আবার ফিরিয়ে নেয়া বাধ্যতামূলক। ব্রিটেনের ১৯৮১ সালের নাগরিকত্ব আইনেও বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র সচিব কারও নাগরিকত্ব বাতিল করে দেয়ার ক্ষমতা পেলেও কাউকে রাষ্ট্রহীন করতে পারেন না।
ব্রিটিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইএসে যোগ দেয়া কাউকে উদ্ধার করতে কর্মকর্তাদের ঝুঁকিতে ফেলতে চায় না যুক্তরাজ্য।