হাভিয়ের ক্যাবরেরার সঙ্গে একবছরের চুক্তি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত জামালদের কোচের ভূমিকায় থাকছেন স্প্যানিশ কোচ। নতুন বছরে নতুন চুক্তিতে কাজ করতে তিনি এখন বাংলাদেশে।
বুধবার বাফুফের ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল ভিডিও বার্তায় ক্যাবরেরার সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোর কথা জানান। সৃষ্টিশীল এবং যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম দল গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত বছরের জানুয়ারিতে একবছরের চুক্তিতে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি।
পরিসংখ্যান বলছে গত একবছর ক্যাবরেরার অধীনে বাংলাদেশ দল আলো কাড়তে পারেনি। ২০২২ সালে তার অধীনে ৮ ম্যাচ খেলে ৫টিতে হারেন জামালরা। এক জয়ের সঙ্গে আছে দুই ড্র। সবমিলিয়ে বলা যায়, স্প্যানিশ কোচের অধীনে ছেলেদের জাতীয় দলের ফলাফল সুবিধার ছিল না।
গত সেপ্টেম্বরে ফিফা প্রীতি ম্যাচে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়টাই একমাত্র সাফল্য। ইন্দোনেশিয়া এবং মঙ্গোলিয়ার সাথে গোলশূন্য ড্র। বাকি ৫ ম্যাচে হারের অভিজ্ঞতা মিলেছিল।
মালদ্বীপের কাছে হেরে বাংলাদেশ মিশন শুরু করেছিলেন ক্যাবরেরা। শেষটাও হয়েছিল হার দিয়ে। কাঠমান্ডুতে নেপালের কাছে ৩-১ গোলের হার ফুটবলারদের মাঠের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি কোচের দক্ষতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল।
ক্যাবরেরার দলের গোল ও রক্ষণের সামর্থ্য নিয়েও আছে প্রশ্ন। গত বছর খেলা ৮ ম্যাচে জালের দেখা পাওয়া গেছে মাত্র ৪ বার। বিপরীতে হজম করতে হয়েছে ১৩ গোল।
তিনি কোচ হয়ে আসার সময় ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ ১৮৬তম স্থানে ছিল। সেসময় ক্যাবরেরা বলেছিলেন, ‘একবছর পর কোন অবস্থানে থাকব তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে অবশ্যই র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি আমাদের লক্ষ্য।’ যদিও বাস্তবে উন্নতির ছিটেফোঁটাও নেই। ৬ ধাপ নেমে র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ এখন ১৯২তম স্থানে। এমন সময়েই চুক্তি বাড়ল তার।
বাংলাদেশে আসার আগে অতীতে কখনও জাতীয় দলের কোচের ভূমিকায় না থাকলেও হাভিয়ের বার্সেলোনার শাখা একাডেমির কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া, স্প্যানিশ ক্লাব দেপোর্তিভো আলাভেসের যুব এলিট একাডেমি এবং দুবছর লা লিগার টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পদে দায়িত্ব সামলেছেন। ২০১৩-২০১৫ সাল পর্যন্ত ভারতীয় ক্লাব স্পোর্টিং গোয়ার মূল দলের সহকারী কোচের দায়িত্বে ছিলেন। তারপর বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব পান।