ইংল্যান্ডের বিস্টলে স্বাগতিকদের দাপটে হার মানে সাউথ আফ্রিকা। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টি ম্যাচেই সফরকারীরা ফিরে আসে জয়ের কক্ষপথে। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচও সমাধা টানে দাপুটে জয়ে। তবে শক্তি ও সম্ভাবনার বিচারে প্রোটিয়া এই দলটিকে সাবেক অধিনায়ক এবিডি ভিলিয়ার্সের কাছে এখন মনে হচ্ছে তেজস্বী দল।
ইংলিশদের মাটিতে প্রথমবারের মতো ২০ ওভারের সিরিজ জিতল প্রোটিয়া দল। ১৯৯৮ সালের পর ইংল্যান্ড সফরে সাদা বলে প্রোটিয়াদের এটি প্রথম সিরিজ জয়। এমন জয়ে স্বভাবতই খুশি ভিলিয়ার্স। সাবেক টি-টুয়েন্টি চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে দেওয়ায় এইডেন মার্করাম ও ডেভিড মিলারকে আলাদা করে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন মি.৩৬০ ডিগ্রি খ্যাত এবি।
ইংলিশদের ৯০ রানে হারানোর পর টুইটারে দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাউথ আফ্রিকান হার্ডহিটার ভিলিয়ার্স, ‘এই দলটিতে প্রচুর শক্তি আছে। দেখতে খুব ভালো লাগছে। দুর্দান্ত পারফর্মেন্স প্রোটিয়াদের।’
হার দিয়ে সিরিজ শুরু করলেও পরপর দুই ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচের সিরিজ সফরকারীরা জিতে নেয় ২-১ ব্যবধানে। প্রোটিয়া অধিনায়ক ডেভিড মিলার ইংলিশদের মাটিতে তাদের হারিয়ে খুঁজেছেন বিশ্বকাপে সাফল্য পাবার সমাধান। এমন সিরিজ জিততে পেরে নিজেও বেশ খুশি মিলার।
‘শততম ম্যাচ খেলতে পারা আমার জন্য বিশেষত্বের বিষয়। কঠিন উইকেটে ওপেনাররা অসাধারণ ছিল, তারা আমাদের ভালো শুরু এনে দিয়েছে। আমরা ভাল তীব্রতা এবং অভিপ্রায় দেখিয়েছি। প্রথম খেলা থেকে দ্রুত ফিরে এসেছি। বাউন্স ব্যাক করার ক্ষমতা ভালো ছিল। সিরিজে সমতা আনতে এবং এখন এটা জিতে। বিশ্বকাপ চ্যালেঞ্জিং হবে কিন্তু গত ১৮ মাস থেকে আমাদের প্রক্রিয়া থেকে অনেক কিছু শিখেছি। চরিত্র, জয়ের উপায়, আমরা যা চাই ছেলেরা সেপথেই হাত বাড়িয়েছে।’
সাউদম্পাটনে সিরিজের শেষ ম্যাচে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান তোলে সাউথ আফ্রিকা। জবাবে ইংল্যান্ড অল আউট হয়ে যায় স্রেফ ১০১ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এদিন দুরন্ত ব্যাটিং করেন রেজা হেনড্রিকস। ৫০ বলে ৯টি চারে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৩৬ বলে ৫টি চারে ৫১ রানে অপরাজিতত থাকেন মার্করাম। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি উইকেট নেন ডেভিড উইলি।
জবাবে মাত্র ১০১ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। বল হাতে ৪ ওভারে ২৪ রানে ৫ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় নিশ্চিত করেন শামসি। ইংল্যান্ডের কোন ব্যাটার সেই ভাবে উইকেটে টিকতেই পারেননি। সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন জনি বেয়ারস্টো। এদিন ইংল্যান্ডের মিডল এবং লোয়ার মিডল অর্ডারের শিরদাঁড়া কার্যত ভেঙে দেন শামসি।