এশিয়ার দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন এবং জাপানের নেতাদের পৃথকভাবে রাশিয়া ও ইউক্রেন সফরের ফলে দুটি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের বিভক্তির সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং রাশিয়ার সাথে চীনের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব প্রসারিত করার জন্য একটি রাষ্ট্রীয় সফরে বর্তমানে চীনে অবস্থান করছেন। অপরদিকে একই সময়ে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আকস্মিক সফর করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।
এশিয়ার শক্তিশালী এই দুটি দেশের শীর্ষ নেতাদের একই সময়ে যুদ্ধে লিপ্ত দু’টি দেশে সফরের ঘটনা তাদের আভ্যন্তরীণ বিভক্তির সম্ভাবনাকে উসকে দিচ্ছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার রাষ্ট্রীয় সফরে রাশিয়ার সাথে চীনের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব প্রসারিত করার জন্য অঙ্গীকার করেছেন। শি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি অর্থনৈতিক আদেশের রূপরেখা তৈরি করেছেন যা দেশ দু’টিকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের পরিণতি থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে। তারা মিডিয়া এন্টারপ্রাইজ এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণাসহ বিস্তৃত সহযোগিতার জন্য এখন পর্যন্ত ১৪টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

এদিকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা একই সময়ে আকস্মিক সফর করেছেন। তার এই সফর পশ্চিমের বেশিরভাগ দেশের সাথেই জাপানের মিত্রতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাপানের প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, জাপানের উচিত বিপরীত অবস্থানে অবস্থান করার পরিবর্তে পরিস্থিতি অনুকুলে আনতে সহায়তা করা। চীনের আধিপত্য এবং উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসনের বিষয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের পাশাপাশি আলোচিত দুটি সফরের ফলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এশিয়ায়।