একই দিনে রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ এবং আওয়ামী লীগের তিন অংঙ্গ সংগঠনের সমাবেশ হওয়ায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রাজধানীর প্রবেশ পথ নারায়ণঞ্জে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রোডে বাস চলাচল বন্ধ আছে। এছাড়াও ভাংচুর এবং নাশকতার কারণে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার ভোর থেকে ঢাকা প্রবেশের মূল পথ সাইনবোর্ড এলাকাতে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। সাঁজোয়া যান, ওয়াটার ক্যান, এপিসি ভ্যানসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি মৌচাক, কাঁচপুর, মদনপুর ও মেঘনা এলাকাতে পুলিশি নজরদারি দেখা গেছে। এদিকে সকাল থেকে ঢাকা -নারায়ণগঞ্জ পথে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় রাজধানীর গুলিস্তান, মতিঝিল, মিরপুর ও গাবতলীরগামী যাত্রীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে।
এদিকে পুরনো মামলায় শনিবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের ১৮ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে নাশকতা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের উপর হামলাসহ সরকার বিরোধী কার্যক্রমে সম্পৃক্তার অভিযোগে আনা হয়েছে। তবে বিএনপি নেতাদের দাবি, মহাসমাবেশে নেতাকর্মীদের যোগদানে বাধাগ্রস্থ করতেই পুলিশের এমন গ্রেপ্তার অভিযান। বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানী ও গণগ্রেপ্তার করেও আন্দলোনকে থামানো যাবে না বলেও জানায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা।
একই দিনে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ও বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের তিন অংঙ্গ সংগঠনের সমাবেশ হওয়ায় রাজধানীর প্রবেশপথ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়নগঞ্জের অংশে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া ঢাকা সিলেট মহাসড়কের তারাব, গাউছিয়া ও ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের পাগলা এলাকায় টহল পুলিশের মাধ্যমে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সড়কের কোথাও জটলা কিংবা সন্দেহভাজন মনে হলেই পথচারী ও স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।