ঢাকার গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে ক্যাফে কুইন বিস্ফোরণে মুন্সিগঞ্জের ২ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হয় এবং একজন দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যান। নিহত ৩ জনের মধ্যে একজন বিস্ফোরণের দিন বিকালে ভবনটিতে স্যানেটারি পণ্য কিনতে গিয়ে দ্বিতীয় তলায় ক্যাফে কুইন রেষ্টুরেন্টে বসে খাবার খাচ্ছিলেন বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ৯ মার্চ নিহতদের নিজ নিজ এলাকায় দাফন করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ভবন থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর মধ্যরাত ৩ টার দিকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নিহতরা হলেন, মুন্সিগঞ্জ সদরের আধারা ইউনিয়নের সৈয়দপুর এলাকার মহিউদ্দিন আখন্দ (৫০)। তিনি ক্যাফে কুইন স্যানেটারি মার্কেটের একটি স্যানেটারির দোকানে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। বিস্ফোরণের সময় তিনি দোকানেই বসা ছিলেন বলে তার ভাতিজা হামিদুর রহমান জানিয়েছেন। আবু জাফর সিদ্দিক তারেক (৩৩) গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি (পশ্চিম পাড়া) গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
নিহতের বড় ভাই পুলিশ সদস্য মো. মাসুদ জানান, স্যানেটারি পণ্য আনতে গিয়ে ক্যাফে কুইন রেষ্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া করার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এসময় তারেকের সাথে থাকা তার চাচাতো ভাই আওলাদ হোসেন মুসা (৩৭) বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ হয়ে গতকাল রাত সাড়ে দশটার দিকে মারা যান।
নিহত আওলাদ হোসেন মুসা পেশায় একজন ফার্মেসি ও হোটেল ব্যবসায়ী ছিলেন বলে জানা গেছে। এদিকে একই গ্রামের দুইজনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকে মুহ্যমান গোটা গ্রাম। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে চারপাশের পরিবেশ।
পুরান ঢাকার সিদ্দিক বাজারে ক্যাফে কুইন স্যানেটারি মার্কেট ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক। আহতদের মধ্যে ৮জন গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।