চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বোনকে বাঁচাতে মার খেলেন ভাই

২ বখাটে কিশোর গ্যাং সদস্য আটক

কক্সবাজারে উত্যক্তকারী কিশোর গ্যাংয়ের হাত থেকে বোনকে বাঁচাতে গিয়ে ব্যাপক মারধরের শিকার হয়েছেন এক ভাই। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের পাশে বোনকে ইভটিজিং করতে দেখে বাধা দিতে গিয়ে বখাটেদের হাতে হামলার শিকার হন ওই ভাই। ঘটনার ১২দিন পর মারধরের ভিডিও ভাইরাল হলে পুলিশ কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের সন্ধান শুরু করে।  এ ঘটনায় অভিযুক্ত রায়হান ও আরমান নামে দুই কিশোর গ্যাং সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
গত ৩১ মে বিকেলে আশ্রয়ন প্রকল্পের বেড়িবাঁধে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার (১১ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় বখাটেরা ফিল্মি স্টাইলে নাফিসা আক্তার নামের এক তরুণীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তরুণীকে রক্ষায় এগিয়ে আসেন ভাই। বখাটেদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে বোন কে রক্ষা করতে পারলেও বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছেন ভাই।
ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঝিনুক বিল্ডিংয়ে আমরা থাকি। সেখান থেকে আমার বোন মামার বাড়ি শহরের সমিতি পাড়ায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। ৩১ মে বোন বাড়ি ফেরার পথে খুরুশকুল মনুপাড়ার আরমান, জামাল ও রায়হানসহ ৬/৭ জন আমার বোনকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। পরে আমার বোন কয়েকবার ফিরে আসতে চাইলে তারা বার বার পথ আটকায়, তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমি কিছুটা দুর থেকে এসব দেখে দৌড়ে আসি। জিজ্ঞেস করার সঙ্গে সঙ্গে তারা আমার বোনকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। তখন আমি বোনকে জড়িয়ে ধরি। এসময় তার গায়ে কেন হাত দিয়েছে জানতে চাইলে তারা আমাকেও মারধর শুরু করে।
ভুক্তভোগী ভাই আরও বলেন, ঘটনার পর পরই সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এ বিষয়ে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু ঘটনার ১১দিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই বখাটেরা আমাকে উপর্যুপরি হুমকি দিয়ে আসছে। এ কারণে শনিবার রাতে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করি।
তবে পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা। কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, ভুক্তভোগী মোনাফ সেদিন পুরো ঘটনা গোপন করে শুধুমাত্র মোবাইল ছিনতাইয়ের একটা অভিযোগ দেন। এ কারণে পুলিশ তাৎক্ষণিক আসল ঘটনা জানতে পারিনি।  ভাইরাল ভিডিওর সাথে অভিযোগের কোন মিল নাই।
তিনি বলেন, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটা দেখে শনিবার রাতে অভিযুক্ত খুরুশকুল মনুপাড়া এলাকা নুরুল আলমের ছেলে রায়হান (২০) ও কুলিয়া পাড়া এলাকার নুরুন্নবীর ছেলে আরমানকে (২০) আটক করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।