প্রথম ম্যাচে বলিভিয়াকে উড়িয়ে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব শুরু করেছিল ব্রাজিল। সেই ম্যাচে ৫-১ ব্যবধানে জয় পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে জিততে পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বেগ পেতে হয়েছে। ম্যাচের ৮৯ মিনিট পর্যন্ত গোলশূন্য থেকে শেষ মিনিটে মার্কুইনহোসের লক্ষ্যভেদে ১-০ গোলে জিতে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে ফের্নান্দো দিনিজের দল।
এস্তাদিও ন্যাসিওনাল ডি লিমা স্টেডিয়ামে বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায় মুখোমুখি হয় ব্রাজিল ও পেরু। সেলেসাওদের কোচ দিনিজ বলিভিয়ার বিপক্ষে দারুণ শুরুর পরও এই ম্যাচের আগে শিষ্যদের অবশ্য মাটিতেই পা রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত নেইমার-রাফিনহারা জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন।
ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ভালো করে সফরকারী ব্রাজিল। কিন্তু বেশ কয়েকবার আক্রমণে গেলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি নেইমার বাহিনী। গত বিশ্বকাপ বাছাই পার হতে না পারা পেরুর রক্ষণের কাছে বারবার পরাস্থ হয়। সেলেসাওরা বল দখলে এগিয়ে থাকলেও পেরুর গোছানো মিডফিল্ডের সামনে তারা প্রায়ই পেরে ওঠেনি।
পুরো ম্যাচে ৬২ শতাংশ বল দখলে নিয়ে ৯ শট মেরে ৪টি লক্ষ্যে রাখতে পারে ব্রাজিল। অন্যদিকে, ৩৮ শতাংশ বলের দখলে থাকা পেরু ৬ শট নিলেও কোনোটিই লক্ষ্যে রাখতে পারেনি।
১৭ মিনিটে অবশ্য জালের দেখা পেয়েছিল ব্রাজিল। অফসাইডের ফাঁদে পড়ে তা বাতিল হয়। ২৯ মিনিটে আরও একবার লক্ষ্যভেদ করেছিলেন রিচার্লিসন। সেটিও বাতিলের কারণ অফসাইড।
ডান প্রান্ত থেকে রাফিনহার কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সের ভেতর তুলে মারেন ব্রুনো গুইমারায়েস। লাফিয়ে উঠে দারুণ হেডে বল জালে ঢুকিয়ে উদযাপনও করেন রিচার্লিসন। পেরুর খেলোয়াড়দের আপত্তির মুখে ভিএআরে যান রেফারি। বেশ খানিকক্ষণ দেখার পর অফ সাইডে তা বাতিল করে দেন তিনি। এ সিদ্ধান্তে অবাক হয়ে নেইমাররা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান।
এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল গোলশূন্য ড্রয়ের পথে যাচ্ছে ম্যাচ। তবে ৯০ মিনিটে নেইমারের কর্নার থেকে পাওয়া বলে দর্শনীয় হেড করেন ব্রাজিল ডিফেন্ডার মার্কুইনহোস। তার গোলে শেষ পর্যন্ত ১-০তে জিতে মাঠ ছাড়ে লাতিন আমেরিকার দলটি।