বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চট্টগ্রাম পর্বের শুরুটা হলো বিশাল স্কোর সঙ্গী করে। ঢাকা ও সিলেটে রানখরা থাকলেও বন্দনগরীতে বিপিএল যেতেই দেখা গেল চার-ছয়ের মহোৎসব। মঙ্গলবার দুপুরে সাগরিকার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আসা দর্শকরা দারুণ উপভোগ করেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের আগ্রাসী ব্যাটিং। বিপিএলে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ডেও ভাগ বসিয়েছে লিটন দাসের দল।
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের প্রতিপক্ষ হোম টিম চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই অনেকের আবার মনও খারাপ হয়েছে। লিটন, মঈন আলীর ঝড়ো ফিফটি আর উইল জ্যাকসের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রানের পাহাড় গড়ে কুমিল্লা।
২০১৯ সালের বিপিএলে চট্টগ্রামেই স্বাগতিক দলের বিপক্ষে অ্যালেক্স হেলস ও রাইলি রুশোর জোড়া সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে ২৩৯ রান তুলেছিল রংপুর রাইডার্স। সেই রেকর্ডে এবার ভাগ বসাল চারবারের বিপিএল চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা।
বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব শুরুর দিন সাগরিকার আবহাওয়া ছিল রৌদ্রজ্জ্বল। উইকেটে হালকা ঘাস থাকলেও সেটি বরং ব্যাটারদেরই বড় শট খেলতে সাহস যুগিয়েছে। কেননা প্রায় প্রতিটি বলের বাউন্স ছিল অনুমেয়।
ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে আগে বোলিং বেছে নেন চ্যালেঞ্জার্স অধিনায়ক শুভাগত হোম। শুরুতে লিটন দাস ও পরে উইল জ্যাকস ঝড় তুলে শুরু থেকেই বাড়াতে থাকেন রানের চাকা। পাওয়ার প্লে’তে বিনা উইকেটে ৬২ রান তোলে কুমিল্লা।
দশম ওভারেই চলে আসে দলীয় শতরান। দুইশতে তখন থেকেই চোখ ছিল কুমিল্লার। জ্যাকসের ৫৩ বলে ১০৮ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে সহজেই দুইশ পেরিয়ে আড়াইশর দিকে ধাবিত হয় কুমিল্লা। শেষ দুই বলে বাউন্ডারি না আসায় সেটি অবশ্য পারেনি দলটি। জ্যাকস ১০টি ছয়ের সঙ্গে মারেন ৫টি চার।
সুযোগ ছিল বিপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ার। শহিদুল ইসলামের শেষ দুই বলে একটি করে সিঞ্চেলস নেন জ্যাকস ও মঈন। বিপিএলের চলতি আসরে নিজের প্রথম ম্যাচে স্পিনিং অলরাউন্ডার মঈন ২৪ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। মারেন ৫টি ছক্কা।