আসরের শুরুটা ভালো হয়নি সিলেট স্ট্রাইকার্সের। নিজেদের প্রথম পাঁচ ম্যাচেই হেরে বসেছে। ষষ্ঠ ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেয়েছে সুরমাপাড়ের দলটি। নতুন জার্সি ও নতুন নেতৃত্বে খেলতে নেমে দুর্দান্ত ঢাকাকে ১৫ রানে হারিয়েছে।
ভাষার মাসকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সিলেটের ২০টি ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তুলে বানানো সবুজ রঙের বিশেষ এক জার্সি পরে ঢাকার বিপক্ষে নেমেছে সিলেট। অন্যদিকে দলটির অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো জয়ী হয়ে পেয়েছেন সংসদের হুইপের দায়িত্ব। দায়িত্ব পালনে বিপিএল ছেড়েছেন তিনি। পরিবর্তে এই ম্যাচ থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সহ-অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটে আমন্ত্রণ জানায় দুর্দান্ত ঢাকা। নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১৪২ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিক দল। জবাবে নেমে ৯ উইকেটে ১২৭ রানে থামে ঢাকার ইনিংস।
সিলেটের শুরুটাও ভালো হয়নি খুব একটা। ১৩ রানে ৩ ব্যাটারকে হারায় তারা। ব্যর্থ হয়েছেন তিন টপঅর্ডার শামসুর রহমান, নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান। পরে সামিত প্যাটেলকে নিয়ে হাল ধরেন মোহাম্মদ মিঠুন।
সিলেটের হয়ে দুই ব্যাটার উল্লেখযোগ্য রান পেয়েছেন। ৩২ বলে ৩২ রান করে ফিরেছেন সামিত। চারটি চার ও তিন ছক্কায় ৪৬ বলে ৫৯ রান করে মিঠুন ফিরে যান। শেষদিকে আরিফুল হক ৯ বলে ২১ রান করেন।
ঢাকার হয়ে শরীফুল নেন ৪ উইকেট। আরাফাত সানি ২টি এবং তাসকিন ও উসমান কাদির একটি করে উইকেট নেন।
রানতাড়ায় নেমে রিচার্ড এনগারাভার তোপের শিকার হয় ঢাকা। ১৯ রানে দুই ব্যাটার হারায়। ফিরে যান সায়েম আইয়ুব ও নাঈম শেখ। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৩১ রান তোলেন সাইফ হাসান ও অ্যালেক্স রোস। ১৯ বলে ১৭ রান করে সাইফ ফিরে গেলে জুটি ভাঙে। অ্যালেক্স রোসও ফিরে যান ১৮ বলে ২০ রান করে।
ব্যাটারদের ব্যর্থতার মাঝে দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ছয়টি চারে ১১ বলে ২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। বাকিদের কেউ উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেননি।
সিলেটের হয়ে এনগারাভা নেন ৪ উইকেট। রেজাউর রহমান রাজা ২টি এবং নাঈম হাসান ও বেনি হাওয়েল নেন একটি করে উইকেট।