ঢাকা ডমিনেটরসের বিপক্ষে শেষ ২৫ বলে ৪০ রানের সমীকরণ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স মেলাল ২.২ ওভার হাতে রেখে। শেষে চার-ছক্কার ফোয়ারা ছুটিয়ে ১৪ বল আগেই খেলা শেষ করেন ডারউইশ রাসুলি। ৩৩ বলে ৫৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে এনে দেন ৮ উইকেটের জয়।
৫২ বলে ৬৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন আফিফ হোসেন। অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেট জুটিতে আসে ১০৩ রান।
ঢাকার দেয়া ১৫৯ রানের লক্ষ্যে আফিফ ছিলেন অনবদ্য। তার ব্যাটেই তৈরি হয় জয়ের পথ। শেষে রাসুলি ঝড় তুলে আগেভাগেই শেষ করেন খেলা। শেষ দশ বলে ৭টি বাউন্ডারি মারেন এ পাওয়ার হিটার।
তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানি একটি করে উইকেট নেন।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রাতে ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেন ঢাকার অধিনায়ক নাসির হোসেন। প্রথম নয় ওভারে উইকেট না হারালেও রানের গতি বাড়াতে পারেনি তারা। দলীয় ৬০ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙার পর উসমান ঘানি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেছিলেন।
ঘানির বিদায়ের পর ধীরগতিতে ব্যাট করতে থাকা ঢাকা আরিফুল হকের শেষদিকের ঝড়ে ৬ উইকেটে ১৫৮ রান স্কোরবোর্ডে জমা করেছে।
ওপেনার মিজানুর রহমান ৩ চারে ২৮ রান করলেও খেলেন ৩৩ বল। ঘানি ৩৩ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
সৌম্য সরকার হন ব্যর্থ, ৪ রান করেই সাজঘরে ফেরেন। মোহাম্মাদ মিঠুন ৯ রান করে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন। অধিনায়ক নাসির হোসেন ক্রিজ ছাড়ার আগে ২২ বলে ৪টি চারে করেন ৩০ রান।
শেষ দুই অবারে ২৫ রান তুলতে পারায় ঢাকা দেড়শ রানের গণ্ডি পার হয়। ১৮ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন আরিফুল হক। মোহাম্মাদ ইমরান ৫ রান করে শেষ ওভারের চতুর্থ বলে মাঠ ছাড়েন।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পক্ষে দুটি করে উইকেট পান মেহেদী হাসান রানা ও নিহাদুজ্জামান। একটি উইকেট নেন মালিন্দা পুষ্পকুমারা।