১৯৯৭ সালে ভালোবেসে সামাজিকভাবে একে অপরকে বিয়ে করেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী শ্রীদেবী ও প্রযোজক বনি কাপুর। এ দম্পতির ঘরে জাহ্নবী কাপুর ও খুশি কাপুর নামে দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। তবে গুঞ্জন রয়েছে, বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন শ্রীদেবী। দীর্ঘ ২৬ বছর পর এবার সেই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন বনি কাপুর।
সম্প্রতি এক ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বনি কাপুর বলেন, ‘শিরডি মন্দিরে শ্রীদেবীকে আমি বিয়ে করি। এটি আমার দ্বিতীয় বিয়ে। ১৯৯৬ সালের ২ জুন আমরা বিয়ে করি। ওই রাত আমরা মন্দিরেই কাটাই। কিন্তু সেটি কারো জানা ছিল না। এরপর ১৯৯৭ সালের জানুয়ারিতে শ্রীদেবীর প্রেগন্যান্সি দৃশ্যমান হয়। তখন আমাদের সামাজিকভাবে বিয়ে করা ছাড়া আর উপায় ছিল না। যার কারণে ১৯৯৭ সালের জানুয়ারিতে পুনরায় জনসম্মুক্ষে বিয়ে করি। এজন্য মানুষ ভাবেন বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল শ্রীদেবী।’
‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ সিনেমার সেটে প্রথম আলাপ শ্রীদেবী-বনি কাপুরের। সেখানে শ্রীদেবীর সারল্য ও ব্যক্তিত্বে বুঁদ হয়েছিলেন বনি। প্রেমে পড়লেও তা শ্রীদেবীকে তখন বলতে পারেননি তিনি। কারণ বনি তখন বিবাহিত; দুটি সন্তানও রয়েছে তার। শ্রীদেবীর বাবা মারা যাওয়ার পর বনি কাপুর তার পাশে দাঁড়ান। শ্রীদেবীর মা যখন অসুস্থ তখনো। ১৯৯৬ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েন শ্রীদেবী-বনি।
তবে ২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে বনিকে একা করে পরলোক গমন করেন শ্রীদেবী। তার মৃত্যুতে ভারতজুড়ে তোলপাড় হয়ে যায়। শোক সাগরে ডুবে যান বলিউডপ্রেমীরা। সেই সময়ে সন্দেহের তীর উঠে বনির দিকেও!
কারণ মৃত্যুর দু-দিন আগে পারিবারিক বিয়ের আনুষ্ঠানে নাচের তালে মেতে থাকা ৫৪ বছরের শ্রীদেবীর এই অকাল মৃত্যু বিশ্বাস করতে পারেনি কেউ। জটিল রূপ ধারণ করে পরিস্থিতি। বাথরুমের টাবে ডুবে মৃত্যু? মেনে নিতে পারেনি শ্রীদেবীর ভক্তরা। অভিযোগের আঙুল উঠেছিল বনি কাপুরের দিকে। কারণ ঘটনার সময় সেই হোটেল রুমে তিনিও ছিলেন।
শুধু শ্রীদেবী ভক্ত নয়, সংবাদমাধ্যমও ঠুকে দেয় একগুচ্ছ প্রশ্ন! তবুও এই মৃত্যু নিয়ে গত পাঁচ বছর টুঁ শব্দটি করেননি বনি। সম্প্রতি ‘দ্য নিউ ইন্ডিয়ান’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রথমবার নীরবতা ভাঙলেন শ্রীদেবীর স্বামী।
স্ত্রীকে হারানোর যন্ত্রণার মাঝেই দুবাই পুলিশের ম্যারাথন জেরার মুখে পরার দুর্বিসহ অভিজ্ঞতা নিয়েও মুখ খুলেছেন প্রযোজক। স্ত্রী শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর থেকেই রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়াতে ‘খলনায়ক’ হিসেবে আবির্ভূত হন বনি!
বনি মনে করেন, শ্রীদেবীর মৃত্যুর জন্য তার স্বাস্থ্য আর তার নিজের চেহারার প্রতি অবসেশনও কিছুটা দায়ী। বনি জানান, ওজন কমানোর জন্য দিনের পর দিন না খেয়ে কাটাতেন শ্রীদেবী। শরীর ধরে রাখতে এসব সিদ্ধান্ত তিনি নিতেন, এমনকি চিকিৎসকের পরামর্শও মানতেন না। ও সব সময় পর্দায় যেন চেহারা সুন্দর দেখায়, এ বিষয়ে বেশী সচেতন ছিলো। এসব কারণেই তার শরীর কার্যত ভেঙে যায়!
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস