আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পূর্বের নির্বাচনের ফলাফল দেখলে সহজেই বোঝা যায়, নির্বাচনে জেতার কোনো আশা বিএনপির নেই। আর সে কারণেই তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অলীক স্বপ্ন। জিততে পারবে না জেনেই নির্বাচন নিয়ে তাদের এত তালবাহানা।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আজ এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি অনঢ় অবস্থান সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশ যেমন ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কন্টিনেন্টাল ইউরোপের দেশগুলোর মতোই আমাদের দেশে সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অবস্থায় স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ডান-বাম,অতি ডান, অতি বাম সবদলকে সাথে নিয়ে ২০০৮ সালের নির্বাচন ও উপনির্বাচন মিলে ত্রিশটির মতো আসন পেয়েছিল। ২০১৪ সালে নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে বিএনপি পাঁচশর বেশি ভোটকেন্দ্র স্কুল ও সেখানকার শিক্ষার্থীদের বইখাতা পুড়িয়ে দিয়েছে, কয়েকজন নির্বাচন কর্মকর্তাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও সংশয়ে থেকে শেষ পর্যন্ত সবরকম জোট করে ছয়টি আসন পেয়েছে। এতে করে সহজেই বোঝা যায়, নির্বাচনে জেতার কোনো আশা তাদের নেই।

রোববারের জনসভায় ১৪ দলের নেতারা যোগ দিতে পারবেন কি না এ প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনসভাটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের, ১৪ দলীয় জোটের নয়। তবে জোটের শরীকরা আমন্ত্রিত, তারা এলে আমরা খুশি হবো।
বিএনপি নেতাদের রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের জনসভায় তেমন লোক হবে না এমন মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব নেতারা রাজশাহীতে লোক হবে না বলছেন, তাদের এসে দেখে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। তারা চাইলে প্রয়োজনে হেলিকপ্টার দিয়ে তাদের আনার ব্যবস্থা করা হবে।
অনুষ্ঠানে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, সংসদ সদস্য মো: আয়েন উদ্দিন, দলের কেন্দ্রীয় সদস্য বেগম আকতার জাহান, রাজশাহী মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল সরকার এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা প্রমুখ।