আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মাঝে মাঝে আন্দোলনে বিরতি দেয়। ঘরে বসে বসে হিন্দি সিরিয়াল দেখে। আর বাইরে পুলিশের গতিবিধি দেখে। এক কাপুরুষ দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। তারেক রহমান রাজনীতি করবে না মুচলেকা দিয়ে পালিয়েছিল। সে নাকি বাংলাদেশের বীর নেতা। আন্দোলনের নেতা। এই লুটপাটকারীকে বাংলাদেশের মানুষ মানে না। এদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। একসঙ্গে লড়াই করতে হবে।
ওবায়দুল কাদের আজ শনিবার ২ সেপ্টেম্বর বিকেলে আগারগাঁও পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সুধী সমাবেশে এ কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর দোসর বিএনপি। ক্ষমতায় থাকতে কি করেছে? শেখ হাসিনা দিয়েছে মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল আর কত কি। হায়রে জ্বালা, অন্তর জ্বালা। তোমরা কি দিলা? দেশ শাসন করে হাওয়া ভবনে লুটপাট করে দেশকে দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন করেছো। বাংলাদেশের মানুষ বিএনপির কাছে পেয়েছে একেবারে অশ্বডিম্ব।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, খেলা হবে। সামনে লড়াই, ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা। জিততে হবে। জিততে পারবেন কারণ ওদের হাতে শোকের পতাকা। আমাদের হাতে শেখ হাসিনার বিজয়ের পতাকা। আমরা বিজয়ের সোনালী বন্দরে পৌঁছে যাব।
বিরোধীদের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ওরা নিষেধাজ্ঞা আর ভিসানীতির কথা বলে। সিয়েরা লিওনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা এসেছে। এ নিয়েও বিএনপিতে উল্লাস। আমি বলি, সিয়েরা লিওন যা করলো সেটা তো তোমরাই করেছো। মাগুরা মার্কা নির্বাচন, এক কোটি ভুয়া ভোটার তালিকা তোমরাই করেছো।
বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা তো অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। এখানে বিদেশি বন্ধুরা আছে, আমরা কথা দিতে চাই- অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আমরা করব। এটাই আমাদের শপথ। আমাদের সিয়েরা লিওনের কথা বলে লাভ নেই।
বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা দিয়েছেন মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পদ্মাসেতু, কর্ণফুলী টানেল, একদিনে শত সেতু, একদিনে শত সড়ক। অপেক্ষা করুন, আরও দেড়শো সেতু আসছে। একদিনে উদ্বোধন হবে।