চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসন্ত্রাসের হোতা: শেখ পরশ

বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসন্ত্রাসের হোতা বলে মন্তব্য যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন: সম্প্রতি আগুনের ঘটনা আমাদেরকে ব্যথিত করেছে এবং জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনা ষড়যন্ত্র কিনা সেটা সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করছি।

মঙ্গলবার ভাসানটেক সরকারি কলেজ মাঠে (বিআরপি সংলগ্ন) পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে যুবলীগের উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ উপহার বিতরণ কার্যক্রম সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, ১৭ এপ্রিল ছিল মুজিবনগর সরকার দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য দিন এই ১৭ এপ্রিল। এই দিন মুজিবনগরে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রতিষ্ঠা লাভ করে। কিন্তু বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুজিবনগর সরকারের অধীনে যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। যেখানে বিদেশী রাষ্ট্রগুলোর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি সৃষ্টি করার পেছনে এই মুজিবনগর সরকার অসাধারণ কূটনৈতিক সফলতা প্রদর্শন করেছিল। সেখানে তিনি কেন অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন, সেব্যাপারে যথেষ্ট প্রশ্ন থাকে এবং জিয়াউর রহমান যে একজন চর এবং একজন ভণ্ড মুক্তিযোদ্ধা সে ধারনাই এর কারণে প্রতিষ্ঠিত হয়। নতুন প্রজন্মকে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন জিয়াউর রহমানের পর্দার আড়ালে কুখ্যাত ভূমিকা অনুসন্ধান করে তা উন্মোচন করার আহ্বান জানাচ্ছি। সেকারণেই আমি মনে করি, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠনের প্রেক্ষাপট, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালির গৌরবগাথা ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জানতে হবে।

তিনি আরও বলেন: ফখরুল সাহেবরা ২০০৪ সালেও বলেছিলেন’২১ এ আগস্ট শেখ হাসিনা নাকি ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে এসেছিল! এখন তিনি বলছেন, আমরা নিজেরাই নাকি আগুন লাগিয়েছি। আমি অবাক নই তাদের এই রকম অসংলগ্ন এবং অসংবেদনশীল কথা শুনে। যে দলের নেত্রী ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করেন, তাদের রুচি সম্বন্ধে আমার জানা আছে। জনগণ অনুমান করে যে বিএনপি দায়ী কারণ তারা যাদের সাথে শরিক করেছে জামায়াত তারাতো আগুন দেয়ার প্রবর্তক; ১৯৭১ সাল তার প্রমাণ। ৭১ সালে এই জামায়াত আমাদের গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে। ২০১৪ সালেও এই জামায়াতকে সাথে নিয়ে তারা অগ্নি সন্ত্রাস করেছে। সুতরাং তাদেরকে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ আছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেন, যারা সংসদ মানে না, আইন মানে না, গণতন্ত্র মানে না, তাদের সাথে কোন আপোস নাই। নির্বাচন হবে এ বছরের শেষের দিকে, এই নির্বাচনে যারা আসবে ভালো, কাউকে আমরা দাওয়াত দিয়ে আনবো না। এই দায়িত্ব আওয়ামী লীগ নেয় নাই। যারা আসবে তাদের নিয়ে নির্বাচন হবে, সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন হবে, সময় মত নির্বাচন হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময় নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন পরিচালনা করবেন, আমরা তাদের সহযোগিতা করবো। আর যদি বিএনপি নির্বাচন বানচাল করার জন্য উল্টোপথে কোন কাজ-কর্ম করে তাহলে কিন্তু জনগণ আর বসে থাকবে না। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, করোনার মহামারিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা যেভাবে সাধারণ মানুষের পাশে ছিল, ঠিক সেই একইভাবে এখনও তারা সাধারণ মানুষের সাথেই রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে যখন ইউরোপসহ অন্যান্য দেশে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে, তার ধাক্কা আমাদের দেশেও লেগেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কৃষক ভাইয়েরা যেন ফসল সঠিকভাবে উৎপাদন করতে পারে সেজন্য সারের মূল্য বৃদ্ধি করা হয় নাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকের কথা চিন্তা করে কৃষি ক্ষেত্রে ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছেন যেন ফসলের উৎপাদন স্বাভাবিক থাকে।