আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন: বিএনপি অবৈধ দখলদারী খুনিদের দল।যারা গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অবৈধ সরকার বলে, সেই বিএনপির নেতা জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করেছিল।
রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এস এম কামাল হোসেন বলেন: জিয়াউর রহমান স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি হয়েছিল, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল; গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, এবং নিজের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সেনা অফিসার জওয়ানদের বিচারের নামে প্রহসণ করে হত্যা করেছিল। আওয়ামী লীগ সহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছিল, গুম করেছিল, হত্যা করেছিল। জিয়াউর রহমানের ধারাবাহিকতায় বেগম খালেদা জিয়া টেবিলের উপর ব্যালট রেখে সিল মারার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল এবং ১৯৯৬ সালে ভোটার বিহীন নির্বাচন করে অবৈধভাবে জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়ে ছিল।
তিনি আরও বলেন: জনগণের তোপের মুখে খালেদা জিয়া রাতের অন্ধকারে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন পাস করে পরের দিন মাথা নিচু করে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল। সেই ভোট চোর, ভোট ডাকাত, অবৈধ ক্ষমতা দখল কারী, গণতন্ত্রের হত্যাকারী, বিএনপি জামাত অপশক্তির মুখে গণতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না, জনগণ এটাকে তামাশা মনে করে। জিয়া থেকে খালেদা জিয়া এই সময়ে বাংলাদেশ ছিল ক্ষুধা, দারিদ্র্য, দুর্ভিক্ষ,মঙ্গা, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতিবাজ ও খুনিদের বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশকে জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, সমৃদ্ধির বাংলাদেশ ,উন্নয়নের রোল মডেলের বাংলাদেশ এবং উন্নয়নশীল বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন।
আওয়ামী লীগের এ সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন: শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী বলেই আজ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্যসেবা দ্বারগোড়ায় ,বৈশ্বিক করোনায় আল্লাহর রহমতে একটি লোকও না খেয়ে মারা যায়নি, আজকে জনগণ বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পেয়েছে, আজকে বাংলাদেশের ৫২ টি উপজেলায় গৃহহীন নাই ও ভূমিহীন নাই । শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী বলেই আজকে পদ্মা সেতু হয়েছে, মেট্রো রেল হচ্ছে, কর্ণফুলী টানেল হচ্ছে, ১০০টি অর্থনৈতিক জোন হয়েছে, সমুদ্র বিজয় হয়েছে, বাংলাদেশ পারমাণবিক বিশ্বে প্রবেশ করেছে, সীমান্ত চুক্তি হয়েছে ,ছিট মহল চুক্তি হয়েছে। এসব সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার সততা, সাহসিকতা, দেশপ্রেম, সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্তের কারণে।
এস এম কামাল হোসেন বলেন: শেখ হাসিনার সরকার অবৈধ সরকার না, জনগণের নির্বাচিত সরকার। শেখ হাসিনার কারণেই দেশে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, শেখ হাসিনার দাবির প্রেক্ষিতে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জিয়া থেকে খালেদা জিয়া কেউ শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি , অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে রাখতে চেয়েছে, জনগণের তোপের মুখে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। আর শেখ হাসিনা শান্তিপূর্ণভাবে পাঁচ বছর দেশ পরিচালনা করে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। শেখ হাসিনা জনগণের আস্থা ও ভালোবাসার প্রতি বিশ্বাস রাখে, মনে করেন জনগণই ক্ষমতার উৎস।
যোগ করেন: যে শেখ হাসিনা তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে, ফজরের নামাজ পড়ে, কোরআন শরীফ পড়ে দিনের কাজ শুরু করেন, মানুষের কথা ভাবেন, মানুষকে স্বপ্ন দেখান এবং মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য দিনের ২৪ ঘন্টার ১৯ ঘন্টা পরিশ্রম করেন, সেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে, তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আখতার জাহান, প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারাসহ অনেকে।