আগামীকাল রোববার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির আজকের মহাসমাবেশস্থল থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এর আগে রাজধানীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সমাবেশ ঘিরে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। দুপুর ১টায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রথম সংঘর্ষ শুরু হয় কাকরাইলে। পরে এই সংঘর্ষের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে নাইটেঙ্গেল মোড়সহ আশপাশের এলাকায়।
এই অবস্থায় মহাসমাবেশ স্থগিত করা হয়। পরে আগামীকালের হরতাল কর্মসূচির কথা জানানো হয়।
এদিন দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষ হয়। এ সময় বিএনপি কর্মীরা কাকরাইল মোড়ে পুলিশ বক্স এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন (আইইবি) ভবনে আগুন দেয়। যদিও পাঁচ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষ চলাকালীন পুলিশ বক্স ছাড়াও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে আক্রমণ করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। বাসভবনের সিসিটিভি ভেঙেছে এবং একটি বাস ও একটি পিকআপে আগুন দিয়েছে তারা।
রাজধানীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সমাবেশ ঘিরে উত্তাপ রয়েছে রাজনীতিতে। প্রধান দু’দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সতর্ক অবস্থানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। উদ্বেগ রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
এ বিষয়ে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, সমাবেশগুলো নিয়মতান্ত্রিকভাবে করার কথা, ডিএমপি কমিশনারের কাছ থেকে তারা এমন শর্তেই অনুমতি নিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে পুলিশের উপর বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রথমে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। তিনি বলেন, এরপর আমরা তাদের সরিয়ে দেই। পরে তারা আইডিইবি ভবনে আগুন দেয়, চিফ জাস্টিজের ভবন ভাংচুর করে। আমরা তাদেরকে সরিয়ে দিয়েছি।
মতিঝিলে জামায়াতের সমাবেশ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জামায়াত শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করলে আমরা কিছু বলছি না। কিন্তু সেখানেও তারা পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে। আমরা সজাগ আছি, নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।
সরকারি ভবনে আগুন-বাসে আগুন যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।