আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, জনগণের ভোট ও ভাতের জন্য শেখ হাসিনা সারাজীবন সংগ্রাম করেছে। বিএনপি সুষ্ঠু ভোট ব্যবস্থাকে ভয় পায়। কারণ তাদের নেতৃত্ব নেই। নিজেদের মধ্যে আস্থার অভাব। বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অর্থহীন দাবি। তারা নিজেরাই জানে এটা অবাস্তব দাবি, কিন্দু তবুও তারা তাদের নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করছে।
তিনি আজ ১৭ জুন বিকেলে কদমতলীতে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অন্তর্গত ঢাকা-৪ সংসদীয় আসনের (শ্যামপুর-কদমতলী থানা) ৭টি ওয়ার্ডের ইউনিটসমূহের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোনো বহিশক্তির আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অনধিকার চর্চা করা উচিৎ হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে তারা চাপ প্রয়োগ করলে সেটা হবে রাজনৈতিক ও কুটনৈতিক শিষ্টাচার বর্হিভূত।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা এ দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখে চলেছেন। যুগান্তকারী উন্নয়নমূলক কাজ করে চলেছেন, যেটা বিশ্বোর ইতিহাসে বিস্ময়কর ঘটনা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে দক্ষ “যুবশক্তি” হয়ে যুবলীগ ভূমিকা রাখবে। তাই দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে সকল যুবলীগের ভাই-বোনদের তাগিদ দিচ্ছি।
তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আজকে একটা মহল, স্বাধীনতা বিরোধী চক্র এদেশের শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ঠিক যেসময় আমাদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়ে ২৫০০ ডলারেও বেশি, ঠিক যখন এ দেশের মেহনতি মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো নিশ্চিত হয়েছে, ঠিক তখন ঐ দেশবিরোধী চক্র সাধারণ মানুষের উন্নত ভবিষ্যতের স্বপ্ন ধুলিসসাত করতে উদ্যত হয়েছে। এই বঞ্চনার রাজনীতি প্রতিহত করবে যুবলীগ। যুবলীগ মাঠে-ঘাটে-রাজপথে ওদেরকে মোকাবিালা করতে জানে, আগেও করেছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম এমপি বলেন, আজকে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। একাত্তরে যেমন সমস্ত পেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম, এখন সময় এসেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। কারও অনুগ্রহে আমরা স্বাধীন হই নাই।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, সহ-সম্পাদক আবির মাহমুদ ইমরান, কার্যনির্বাহী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, মোঃ আসাদুজ্জামান সুমন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সহ-সভাপতি আনোয়ার ইকবাল সান্টু, হারুন অর রশিদ, নাজমুল হোসেন টুটুল, মুরসালিন আহমেদ, যুগ্ম-সম্পাদক জাফর আহমেদ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু, মাকসুদুর রহমান, প্রচার সম্পাদক আরমান হক বাবু, দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল হক এমদাদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক খন্দকার আরিফ-উজ-জামান, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক মোঃ আলতাফ হোসেন, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাহজালাল রিপন, সদস্য এ আর বাচ্চুসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।