বিশিষ্ট শিল্পপতি, ক্রীড়া সংগঠক, প্রকাশক, লেখক ও জেমকন গ্রুপের চেয়ারম্যান কাজী শাহেদ আহমেদের ৮৩তম জন্মদিন মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর)। ১৯৪০ সালের এই দিনে যশোরে জন্ম গ্রহণ করেন তিনি।
চলতি বছরের আগস্টে প্রয়াত এই সৃষ্টিশীল মানুষটি জীবনের বেশিরভাগ অংশজুড়ে নতুন ধরনের উদ্যোগ নিয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন। পত্রিকা, ব্যবসা কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবকিছুতেই নতুনত্বের ছোঁয়া নিয়ে হাজির হয়েছেন তিনি।
বলা হয়, বাংলাদেশের পত্রিকায় যে আধুনিকতার উপস্থিতি তার শুরুই হয়েছিল কাজী শাহেদ আহমেদের সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘আজকের কাগজ’ পত্রিকার হাত ধরে। যা তৎকালীন মুক্তমত ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
ইঞ্জিনিয়ারিং পাশের পর তিনি ১৪ বছর আর্মিতে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন কাজী শাহেদ আহমেদ। তিনি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির প্রতিষ্ঠাকালীন প্ল্যাটুন কমান্ডারদের একজন।
১৯৭৯ সালে ‘জেমকন গ্রুপ’ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তার ব্যবসায়ী জীবন শুরু। প্রকাশক ও সম্পাদক ‘খবরের কাগজ’ ও ‘আজকের কাগজ’। বাংলাদেশে প্রথম অর্গানিক চা বাগানের প্রতিষ্ঠাতা। তার অলাভজনক উদ্যোগের মধ্যে আছে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ ও কাজী শাহেদ ফাউন্ডেশন।
এসব পরিচয়ের বাইরে তিনি যুক্ত ছিলেন লেখালেখির সাথেও। তার প্রথম গ্রন্থ ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত ‘আমার লেখা’। ‘ঘরে আগুন লেগেছে’ বইটিও প্রকাশিত হয় ১৯৯৫ সালেই। ২০১৩ সালে তার তেয়াত্তর বছর বয়সে প্রথম উপন্যাস ‘ভৈরব’ প্রকাশিত হয়। আত্মজীবনী ‘জীবনের শিলালিপি’ প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালে। একই বছর প্রকাশিত হয় উপন্যাস ‘পাশা’। ২০১৭ সালে প্রকাশিত হয় উপন্যাস ‘দাঁতে কাটাপেনসিল’। ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয় উপন্যাস ‘অপেক্ষা।
২০২৩ এর ২৮ আগস্ট ঢাকার একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কাজী শাহেদ। তার স্ত্রী আমিনা আহমেদ ও তিন ছেলে কাজী আনিস আহমেদ, কাজী নাবিল আহমেদ ও কাজী ইনাম আহমেদ।