চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

সামসুন্নাহারকে ছাড়াই ইরানের বিপক্ষে জিততে চায় বাঘিনীরা

তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ৪-০ গোলের বড় জয় দিয়ে ‘এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ-২০২৪’র কোয়ালিফায়ার মিশন শুরু করেছে বাংলাদেশ। লিগামেন্টে চোটের কারণে সেই ম্যাচে খেলতে পারেননি অধিনায়ক সাহসুন্নাহার জুনিয়র। তাকে ছাড়াই শক্তিশালী ইরানের বিপক্ষে রোববার জয়ের জন্য নামবে লাল-সবুজের দল।

রোববার বিকাল ৫টায় কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বাছাইপর্বের প্রথম রাউন্ডে এইচ গ্রুপের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ইরান।

এক ম্যাচ খেলে জয় পাওয়া বাংলাদেশ ও ইরানের পয়েন্ট সমান ৩ করে। গোল ব্যবধানে ইরানের মেয়েরা অনেক এগিয়ে আছে। টাইগ্রেসদের সামনে বাছাইপর্বের পরের রাউন্ডে যাওয়ার জন্য জয়ের বিকল্প নেই। দল কেবল জেতার জন্যই খেলবে এমন ঘোষণা কোচ গোলাম রব্বানি ছোটন আগেই দিয়ে রেখেছেন।

মাঠে নামার আগে বাংলাদেশের জন্য অস্বস্তির খবর, চোট থেকে সেরে না ওঠায় খেলতে পারবেন না সামসুন্নাহার জুনিয়র। নিজের ফেসবুক পেজে করা পোস্টে তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন।

নিয়মিত অধিনায়ককে ছাড়া তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে বড় জয় তোলে স্বাগতিকরা। গোটা ম্যাচে ফিনিশিংয়ের দুর্বলতা ছিল বেশ স্পষ্ট। একের পর এক আক্রমণ করে গেলেও বাংলাদেশের গোলের দেখা পেতে প্রথমার্ধের যোগ করা সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।

ফরোয়ার্ড লাইনে খেলা তিন ফুটবলার আকলিমা, রিপা ও স্বপ্নাদের অগোছালো ফুটবলের কারণে গোলসংখ্যা বাড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। সতীর্থরা সুবিধাজনক জায়গায় থাকার পরও তাকে পাস না দিয়ে নিজে গোলের চেষ্টা করে অনেক সুযোগ নষ্ট করে স্বাগতিক দল। ৭-৮ গোলও পেতে পারতো বাঘিনীরা।

সুযোগ বারবার নষ্ট করা নিয়েও বাংলাদেশ কোচ ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে দিয়েছিলেন মতামত, ‘আমাদের অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে। গোল হয়েছে চারটা। আরও গোল হতে পারতো। এখানে সামসুন্নাহার যদি (স্ট্রাইকিং) পজিশনে থাকতো, তাহলে আরও গোল হতো। অবশ্যই সামসুন্নাহারের অভাব অনুভব করেছি। তার জায়গায় আইরিন এসেছে। মানিয়ে নিতে সে সময় নিয়েছে।’

একের পর এক আক্রমণ গড়ে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা রেখেছিল বাংলাদেশ। ঠাণ্ডা মাথায় ফিনিশিং দিতে না পারায় আরও বড় ব্যবধানে জয় জোটেনি। কোচ বিষয়টি আমলে নিয়ে পরের ম্যাচের দিকে দৃষ্টি রাখছেন।

‘প্রথম ১৫-২০ মিনিট ওরা খুবই তাড়াহুড়া করেছে। তবে সময়ের সাথে সাথে তারা আরও সংগঠিত হয়ে উন্নতি করেছে। ইরানের সঙ্গে আমাদের আরও ভালো করতে হবে।’

তুর্কমেনিস্তানকে ৭-১ গোলে উড়িয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে ইরান। গোল ব্যবধানে তারা বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।

ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ইরানের নারী জাতীয় দল রয়েছে ৬৮তম স্থানে। অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ ১৪০তম স্থানে। তবে জাতীয় দলের র‍্যাঙ্কিং দিয়ে বয়সভিত্তিক দলের শক্তি সম্পর্কে সবসময় সঠিক ধারণা পাওয়া যায় না। মাঠে আকলিমা-রিপা-স্বপ্নাদের সেটাই প্রমাণের পালা।

বাংলাদেশের জন্য চিন্তার কারণ হতে পারেন ইরানি মিডফিল্ডার হাসতি। তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন হ্যাটট্রিক। তাকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা ছোটনের মেয়েদের থাকতে পারে। আক্রমণে দুদলই শক্তিশালী। রক্ষণ ও মধ্য মাঠের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। পোস্টের সামনে বাংলাদেশের প্রহরী রুপনা চাকমাকে বরাবরের মতো সেরাটাই দিতে হবে।