৩০৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়েছিল জিম্বাবুয়ে। ৬২ রানে হারিয়েছিল ৩ উইকেট। পরে ইনোসেন্ট কাইয়া ও সিকান্দার রাজা শতাধিক রানের জুটিতে পাল্টা লড়াই শানিয়ে বাংলাদেশকে ফেলেছে অস্বস্তিতে।
এ পর্যন্ত তাদের সংগ্রহ ৩৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৩ রান। ফিফটি তুলে নেয়া কাইয়া ১০২ বলে ১০ চারে ৮১ ও রাজা ৭০ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৯ রানে ক্রিজে আছেন।
তাসকিনের করা ২৭তম ওভারের শেষ বলে রাজার সহজ ক্যাচ ফেলে দেন তাইজুল। ৪৩ রানে রাজা জীবন পান। সুযোগ কাজে লাগিয়ে তুলে নিয়েছেন ফিফটি। কাইয়াকে নিয়ে স্বাগতিকদের জয়ের আশা টিকিয়ে রেখেছেন।
ম্যাচের ৩৩তম ওভারে শরিফুলের করা প্রথম বলে জীবন পান কাইয়াও। ৬৮ রানে থাকা অবস্থায় থার্ডম্যানে ক্যাচ দিলেও তাসকিন তালুতে নিতে পারেননি। একই ওভারের শেষ ফলে কাইয়ার ফিরতি ক্যাচ তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন শরিফুল। বল পায়ে লাগায় তিনি আঘাত পেয়ে খানিকক্ষণ মাঠে শুয়ে থাকেন।

ইনিংসের প্রথম ওভারেই স্বাগতিক লাইনআপে আঘাত হেনেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২ রানে প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। কাটার মাস্টারের অফস্টাম্পের বাইরে করা ব্যাক অব লেন্থ ডেলিভারি কভারের উপর দিয়ে মারতে গিয়েছিলেন রেগিস চাকাভা। বল অধিনায়কের ব্যাটের নিচের কানায় লেগে লেগ স্টাম্প উপড়ে ফেলে।
পরের ওভারে আরেক ওপেনার তারিসাই মুসাকান্দাকে ফেরান পেসার শরিফুল ইসলাম। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে ফুল লেন্থ বলটি ঠিক মতো ব্যাটে লাগাতে পারেননি ৪ রান করা মুসাকান্দা। বৃত্তের ভেতর সহজ ক্যাচ নেন মোসাদ্দেক।
তৃতীয় উইকেটে কোণঠাসা থেকে দলকে উদ্ধারের প্রাথমিক কাজটা করেন ইনোসেন্ট কাইয়া ও ওয়েসলি মাধভেরে। দুই ব্যাটার ৫৫ রান যোগ করেন।
অদ্ভুত রানআউটে মাঠ ছাড়েন মাধভেরে, ভাঙে তৃতীয় উইকেট জুটি। অনসাইডে ফ্লিক করেছিলেন কাইয়া। সহজেই দুজনে দৌড়ে নেন এক রান। বদলি ফিল্ডার তাইজুল প্রথম চেষ্টায় বল ধরতে পারেননি। তাতে আর রান নেয়ার সুযোগ ছিল না। কাইয়া দৌড়ানোর সংকেত না দিলেও অযথাই দৌড় দেন মাধভেরে। বোলিং প্রান্তে তাইজুলের থ্রোয়ে বল পাওয়া মিরাজ ধরে স্টাম্পে লাগান। মাধভেরে ২৭ বলে ২ চারে ১৯ করে ফেরেন।
এদিন টসে হেরে ব্যাট আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ লিটন দাস, তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয় এবং মুশফিকুর রহিমের দারুণ ফিফটিতে ২ উইকেটে তোলে ৩০৩ রান।