টেস্ট সিরিজের হতাশা কাটিয়ে এবার টি-টুয়েন্টি সিরিজ জয়ের মিশনে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। আজ ডমিনিকায় তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জানালেন প্রতিপক্ষের সঙ্গে তার দলের এগিয়ে থাকা ও জয়ের উপায়।
‘দল হিসেবে আমাদের সিরিজে ভালো করার সুযোগ আছে। বাংলাদেশের জন্য জয়ের চেষ্টাই করবো। ইতিবাচক থাকাই আমাদের লক্ষ্য।’
দুটি প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলার কথা থাকলেও সফরকারীরা তা পারেনি। পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ছাড়া ম্যাচ খেলতে নামা কঠিন কি না- এই প্রশ্নের উত্তর মাহমুদউল্লাহ একটু ভিন্নভাবে দিলেন।
‘আজকে বৃষ্টি পড়ছে। কালকে ভ্রমণ করে আসলাম। সেন্ট লুসিয়ায় একদিন অনুশীলন করেছিলাম। ৪০ মিনিট ফিল্ডিং অনুশীলন করেছি। মানসিকভাবে সেভাবে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। মানসিকভাবে ম্যাচের প্রতি যারা বেশি ফোকাস রাখবে, তারাই ম্যাচে এগিয়ে থাকবে। আমি দলের খেলোয়াড়দের সেটাই বলেছি। এটাই ম্যাচে এগিয়ে থাকার সেরা উপায়।’
২০০৯ সালে সিরিজ খেলতে এসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিন ওয়ানডে ম্যাচের সবকটিতে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। ওই সিরিজের প্রথম দুটি খেলা ডমিনিকার এই ভেন্যুতেই হয়েছিল। উইন্ডসর পার্কে যদিও ২০১৮ সালের পর আজ আবারো ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। সংস্কার কাজের জন্য পরিবর্তন হয়েছে ভেন্যুর। তাই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৩ বছর আগের দুই ওয়ানডে ম্যাচ জয়ের স্মৃতি টানলেও মানিয়ে নেয়ার কথাটা বলতে ভোলেননি।
‘আমি যখন ড্রেসিংরুমে ঢুকলাম তখন সাকিবকে বলছিলাম- এখানে এভাবে খেলে এভাবে জিতেছিলাম। এটা (স্মৃতি) সবসময়ই ভালো অনুভূতি দেয়। তবে একইসাথে এটা অনেক আগের কথা। এখন হয়ত এটা আমাদের জন্য নতুন একটা ভেন্যু। উইকেট ভিন্ন রকমের হলেও হতে পারে। উইকেট ভালো হলে খুবই ভালো। মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা আমাদের থাকতে হবে।’
টেস্ট সিরিজ হারের পরও দলের সবাই ইতিবাচক থাকবেন জানিয়ে টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘এটা ভিন্ন বলের খেলা। লাল বলের খেলাকে এবার সরিয়ে রেখে টি-টুয়েন্টিতে নজর দিচ্ছি। বিশ্বকাপের জন্য ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে।’
টি-টুয়েন্টিতে ধারাবাহিক বাংলাদেশ কখনোই নয়। এই ফরম্যাটের ব্যাটিং কীভাবে করতে হয়, তা বুঝতেই দেড় দশক পেরিয়ে গেল। ব্যাটারদের পাওয়ার হিটিংয়ের সামর্থ্য সবসময় প্রশ্নবিদ্ধ। এ বিষয়ে মাহমুদউল্লাহর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি অ্যাওয়ে কন্ডিশনে উন্নতির করার দিকে জোর দিলেন।
‘আমি জিনিসটা দুইভাবে দেখি। হোম কন্ডিশনে আমরা অনেক বেশি ধারাবাহিক। অ্যাওয়ে কন্ডিশনে উন্নতির জায়গার ঘাটতির জায়গা আছে। এখান থেকে বের হতে হবে, স্বীকার করি। বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় আছে, যারা এখনো তরুণ ও অনভিজ্ঞ। ওদেরকে সময় দিতে হবে। বিশ্বকাপের আগে সম্ভবত আমরা ১০-১২টি ম্যাচ খেলবো। সুযোগগুলো যদি ওরা পায় এবং কিছু করতে পারে, এটা দলের জন্য ভালো হবে।’
‘মুনিম এখনো দলে থাকার চেষ্টা করছে। বিজয় দলে এসেছে। তাদের পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। একইসঙ্গে টিম ম্যানেজমেন্ট এবং আমারও দায়িত্ব তারা যেন পর্যাপ্ত সুযোগ পায়। আমি নিজের জায়গা থেকে চেষ্টা করবো যাতে তারা পর্যাপ্ত সময় পায়।’
মুশফিকুর রহিম সিরিজে না থাককেও সেটিকে ঘাটতি মনে করছেন না বলেই লাল-সবুজের টি-টুয়েন্টি অধিনায়কের কথায় মনে হয়েছে। ভবিষ্যতে তার জায়গায় বাকিদের স্থান করে নেয়ার জন্য তরুণদের তাগিদও দিলেন।
‘মুশফিক আমাদের দলের সেরা খেলোয়াড়। একইসঙ্গে তার স্থানে জায়গা করে নেয়ার এটাই সেরা সুযোগ। দল হিসেবে আমাদের সিরিজে ভালো করার সুযোগ আছে। বাংলাদেশের জন্য জয়ের চেষ্টাই করবো।’