এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
তানভীর ইসলাম, বাংলাদেশের স্পিন সমৃদ্ধ দলের উদীয়মান তারকা। জাতীয় দল জার্সিতে টি-টুয়েন্টিতে চার ম্যাচ খেলেছেন। জুনে হতে চলা ছোট সংস্করণের বিশ্বকাপে দলে জায়গা করে উড়াল দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের আসর বাঁহাতি স্পিনারের প্রথম বিশ্বকাপ হতে চলেছে।
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ক্রিকেটারদের ধারাবাহিক সাক্ষাৎকার প্রকাশ করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দলের সঙ্গে থাকা কোচ এবং খেলোয়াড়রা জানাচ্ছেন ভাবনা। বৃহস্পতিবার বোর্ড প্রকাশিত ভিডিওতে কথা বলেছেন ২৭ বর্ষী স্পিনার। খেলোয়াড় না হলে প্যারামেডিকেল, সাধারণ শিক্ষা, ডেন্টালে না হলে পুলিশ হতেন তানভীর।
ক্রিকেটে যাত্রা কীভাবে? তানভীর জানান, ‘আমার বাবা-মা সবাই ঢাকায় চাকরি করত। নানুও সরকারি চাকরি করত। কিন্তু মাসশেষে তার কাছে আমার আবদার থাকতো ক্রিকেটের ব্যাট-বল স্টাম্পসহ কিনে দিতে হবে। ছোটবেলায় অনেক বড়দের সাথে খেলেছি। কারণ আমার বল-ব্যাট ছিল এবং তারা আমাকে নিতো অংশগ্রহণের জন্য।’
‘বরিশাল বুলস নামে বিপিএলে একটি দল হইছিল, সেখানে লারা নামের একজন ছিল আমার এলাকার। তার সাথে কথা হয়, তিনি আমাকে ঢাকা এসে কোনো একাডেমিতে ভর্তি হওয়ার জন্য বলেন। আমার আব্বু রাজি ছিল না, ক্রিকেট অনিশ্চিত বিষয়। তারপর আমার নানু বলে ঢাকায় দিয়ে আসতে।’
‘আমার আব্বু আমাকে দুই এক বছর সময় দিয়ে বলে এখানে কিছু না হলে আবার এই পেশায় ফিরে এসো। তার পছন্দ ছিল প্যারামেডিকেল, সাধারণ শিক্ষা, ডেন্টাল বা পুলিশের কিছু একটা। আব্বু বলে চল আবাহনীর দিকে যাই, ওটা অনেক বড় ক্লাব। আবাহনীর মাঠে অনেক একাডেমি, সিসিএস নামের একটি একাডেমি আছে, ওইখানে সাতদিন অনুশীলন হতো। তারপর ওখানে ভর্তি হওয়া। ভর্তি হওয়ার পর রায়েরবাজার প্রগতিতে একটি থার্ড ডিভিশন টিমে খেলি। ওনারা আমাকে টাকা নেয়ার কথা বললে আমি নিতে অস্বীকার করি।’
তানভীরের পরবর্তী কাহিনী মোটামুটি সবার জানা। ২০২৩ সালের মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টিতে অভিষেক হয় তানভীর ইসলামের। সবশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দলে থেকে বিশ্বকাপের দলেও জায়গা করে নিয়েছেন।