বেশ কয়েক বছর ধরেই মাঠে বাড়তি উত্তাপ ছড়াচ্ছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ। গত বিশ্বকাপে ম্যাথুজের সেই টাইমড আউটের ঘটনার পর এই দুদলের ম্যাচ যেন এক ‘রণক্ষেত্র’। বিশ্বকাপের সেই ম্যাচের পর আবারও মুখোমুখি হতে চলেছেন দল দুটি। তিন সংস্করণের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে এসেছে শ্রীলঙ্কা। টি-টুয়েন্টি দিয়ে শুরু হবে মাঠের লড়াই।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সোমবার টি-টুয়েন্টি দিয়ে শুরু হবে সিরিজ। তিন ম্যাচ টি-টুয়েন্টির ম্যাচগুলো গড়াবে সন্ধ্যা ছটায়। ক্রিকেটের ছোট সংস্করণে অবশ্য লঙ্কানদের বেশ পিছিয়ে বাংলাদেশ। এখনপর্যন্ত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৩টি টি-টুয়েন্টি খেলে টাইগারদের জয় কেবল ৪টিতে। অন্যদিকে লঙ্কানরা জিতেছে ৯টিতে।
গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি হলেই দেখা মেলে উত্তাপের। ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফি দিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ দ্বৈরথ শুরু হয়েছিল দু’দলের। সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের টাইম আউটের ঘটনায় বেড়েছে উত্তেজনার পারদ। এতে লড়াইটা রূপ নিয়েছে বাঘ-সিংহের দ্বৈরথে।
২০২২ সালে এশিয়া কাপে সবশেষ টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। ম্যাচটিতে লঙ্কানদের কাছে ২ উইকেটে হেরে যায় টিম টাইগার্স। তবে সাম্প্রতিক পারফর্ম্যান্সে জয়ের স্বপ্ন দেখতেই পারে বাংলাদেশ। সবশেষ তিনটি সিরিজে জিতেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তাছাড়া সবে মাত্র বিপিএল শেষ হয়েছে। দলের সব ক্রিকেটারই টুর্নামেন্টে ছিলেন দারুণ ছন্দে। ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে শান্তরাই থাকবে এগিয়ে।
শ্রীলঙ্কা সিরিজে ‘পূর্ণকালীন’ অধিনায়ক হিসেবে প্রথম পরীক্ষা শান্তর। যদিও অধিনায়কের দায়িত্ব নতুন কিছু নয় তার জন্য। ওয়ানডে বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে বেশ কয়েকটি ম্যাচে আর্মব্যান্ড পরেছিলেন এই টপঅর্ডার ব্যাটার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও নেতৃত্ব সামলিয়েছেন তিনি। তবে নতুন যাত্রা নিজের জন্য চ্যালেঞ্জিং মানছেন টাইগার অধিনায়ক।
এক নজরে দেখে নেয়া যাক প্রথম টি-টুয়েন্টিতে দু’দলের সম্ভাব্য একাদশ
বাংলাদেশ: লিটন দাস, নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শেখ মেহেদী, জাকির আলী অনিক, তাইজুল ইসলাম, শরীফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলঙ্কা: কুশল মেন্ডিস, আভিস্কা ফের্নান্দো, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আশালাঙ্কা (অধিনায়ক), অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ, দাসুন শানাকা, কামিন্দু মেন্ডিস, মাহেশ থিকশানা, বিনুরা ফের্নান্দো ও মাথিশা পাথিরানা।