দীর্ঘদিন বাংলাদেশে স্কোয়াশ খেলার প্রচলন থাকলেও আন্তর্জাতিক যোগ্যতাসম্পন্ন কোনো কোচ ছিল না। প্রতিভাবান খেলোয়াড় থাকা সত্ত্বেও দেশে স্কোয়াশে ভালো করার সম্ভাবনার পথে অন্তরায় ছিল কোচের সেই অভাব।
অবশেষে স্কোয়াশ ফেডারেশন সেই শূন্যতা পূরণে সক্ষম হল। শূন্য থেকে এক লাফে ১৩ জন আন্তর্জাতিক স্কোয়াশ কোচ পেয়ে গেল বাংলাদেশ।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জি এম কামরুল ইসলাম (অব.) দায়িত্ব নিয়ে কোচের ঘাটতির দিকটি চিহ্নিত করেন। দ্রুত কাজ শুরু করেন। গত বছরের অক্টোবরে ইরান থেকে জাভেদ মহসীনকে এনে বিশ্ব স্কোয়াশ ফেডারেশনের অনুমোদন নিয়ে দেশেই একটা কোচিং কোর্সের (লেভেল-৩) আয়োজন করেন।
দেশ সেরা ২৫ জন শিক্ষার্থী কোর্সে অংশ নেন। বিশ্ব স্কোয়াশ ফেডারেশনের কোচিং কমিটি কাছ থেকে কোচিং ক্লাসের পাশাপাশি দীর্ঘ প্রশিক্ষণ, লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নেন তারা।
কোচিং প্রদানের মান, ধরন, কৌশল ও ক্ষমতা বিশ্লেষণ আর যাচাই-বাছাই করে দুজন নারীসহ মোট ১৩ জন চূড়ান্তভাবে পাশ করেছেন। বিশ্ব স্কোয়াশ ফেডারেশন তাদের সার্টিফিকেট দিয়েছে।
সার্টিফিকেট প্রাপ্ত আন্তর্জাতিক স্কোয়াশ কোচরা হলেন- ফজলে ওয়ালী (চট্টগ্রাম), সোহেল হামিদ, কমান্ডার গনি, মোহাম্মদ সুমন (উত্তরা ক্লাব), রাজু (আমেরিকান ক্লাব), সাজু (বিকেএসপি), মাসুদ রানা (আর্মি কমপ্লেক্স), কর্পোরাল রনি, সৈনিক মাসুম, সৈনিক শাহাদত, সৈনিক মারজান, সৈনিক সুনিতা ও আবু সোওয়াদ।