পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে বড় স্কোর পায়নি বাংলাদেশ। পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করলেও ৯ উইকেটে ১৬৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। তিন ম্যাচ সিরিজে সমতায় ফিরতে বোলারদের ভালো পারফরম্যান্সের উপর স্বাগতিকদের নির্ভর করতে হবে।
মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের ইনিংসটি ছিল ধীরগতির ব্যাটিং প্রদর্শনী। দলীয় ২১ রানে প্রথম উইকেট হারায়। সাদিয়া ইকবালের বলে ১২ রান করে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন মুর্শিদা খাতুন। ইনিংস বড় করতে পারেননি সোবহানা মোস্তারি। স্পিনার নাশরা সান্ধুর বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে করেন ১৬ রান।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিকে নিয়ে ৪৯ রান যোগ করেন ওপেনার ফারজানা হক। ধীরগতির ইনিংস খেলে ৮৮ বলে ৩ চারে ৪০ রান করা ফারজানা রান আউটে কাটা পড়ে সাজঘরে ফিরলে জুটি ভাঙে। ডায়ানা বেগের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ১৬ রান করা ফাহিমা খাতুন। টিম টাইগ্রেসের স্কোর তখন ৩৮.১ ওভারে ১১৯ রান।
জ্যোতি ধীরগতির ব্যাটিংয়ে ফিফটি পেলেও শেষদিকের ব্যাটাররা তার সঙ্গে জুটি গড়তে ব্যর্থ হন। নিয়মিত উইকেট পতনের ফলে বড় পুঁজি পায়নি লাল-সবুজের দিল। শেষ ওভারে বাঘিনীদের অধিনায়ক স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হওয়ার আগে খেলেন ১০৪ বলে ৩ চারে ৫৪ রানের ইনিংস।
পাকিস্তানের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন সাদিয়া ও সান্ধু। একটি করে উইকেট শিকার করেন ডায়ানা, নিদা দার ও উম্ম-ই-হানি।
টি-টুয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলেও ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেয়েছিল বাংলাদেশ মেয়েরা। সফরকারীদের স্পিন ঘূর্ণিতে স্বাগতিকরা মাত্র ৮১ রানেই অলআউট হয়েছিল। ৮২ রানের লক্ষ্য সহজেই পৌঁছে যায় পাকিস্তান, পেয়েছিল ৫ উইকেটের জয়।