সাদা বল আর রঙিন পোশাকের ফরম্যাটে এখনও নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। কিউইরা বাংলাদেশে আসলে সে সিরিজের চিত্রটা অবশ্য ভিন্ন হয়। এখন পর্যন্ত তাসমানপাড়ের দেশটিতে ১৬টি ওয়ানডে খেললেও সাফল্যের মুকুটে কোনো পালক যোগ হয়নি। তবে ভোরে কিউইদের বিপক্ষে সিরিজ বাঁচাতে জয়ের প্রত্যাশা নিয়েই মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
বুধবার নেলসনের স্যাক্সটন ওভালে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। বাংলাদেশ সময় ভোর চারটায় গড়াবে মাঠের লড়াই।
দ্বিতীয় ম্যাচের আগে মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে কথা বলেছিলেন টাইগারদের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। পরিবর্তনের স্পষ্ট কোনো বার্তা ছাড়াই বেশি রান করে জমজমাট লড়াইয়ের কথা জানিয়ে এ লঙ্কান বলেছেন, ‘এই উইকেট ভালো মনে হচ্ছে। আমরা গতবার ২০১৭ সালে এখানে দুটি ম্যাচ খেলেছিলাম এবং ২০১৫ বিশ্বকাপেও খেলেছি, আমার মনে আছে। উইকেট ভালো ছিল, ভালো আউটফিল্ড, আশা করছি অনেক রান হবে।’
প্রথম ওয়ানডেতে দারুণ বল করেন বোলাররা। পাওয়ার প্লেতে কিউই টপঅর্ডারের সেরা দুই ব্যাটারকে তুলে নেন বাংলাদেশের বোলাররা। ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় টপঅর্ডারে রান পাওয়া টম ল্যাথামকে আউট করতে পারেনি। তার ৯২ এবং উইল ইয়ংয়ের অপরাজিত ১০৫ রানের উপর ভিত্তি করে ২৪৪ রান লক্ষ্য দিলেও আশানুরুপ ব্যাট করতে পারেনি লিটন-শান্তরা।
দলের সর্বোচ্চ ৪৩ রান আসে এনামুল হক বিজয়ের থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চটি আসে অলরাউন্ডার আফিফ হোসেনের থেকে। বাঁহাতি এ ব্যাটার করেন ৩৮ রান। এছাড়া তাওহীদ হৃদয় ৩৩ এবং মেহেদী মিরাজ ২৮ রান করলে ২০০তে গিয়ে থামে টাইগাররা। ভোরে বোলারদের সাথে ব্যাটাররা ঠিকঠাক কাজ করতে পারলে ইতিহাসের দেখা পেয়েও যেতে পারে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
লিটন দাস, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, এনামুল হক বিজয়, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ।