বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সবশেষ ম্যাচ ছিল নেপালের বিপক্ষে। গতবছর সাফের ফাইনালে দলটিকে হারিয়ে লাল-সবুজের মেয়েরা জিতেছিল শিরোপা। দীর্ঘ বিরতির পর ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে সাবিনারা লড়লেন সেই নেপালের বিপক্ষেই। অধিনায়ক সাবিনার দুর্দান্ত গোলে নির্ধারিত সময়ে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। যোগ করা সময়ে গোল হজম করে শেষঅবধি ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে স্বাগতিকদের।
দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে এসেছে নেপাল। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে প্রথমটিতে নেপালের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে বাংলাদেশ। ৬৪ মিনিটে লিড এনে দিয়েছিলেন সাবিনা খাতুন। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে নেপালকে সমতায় ফেরান সাবিত্রা ভান্ডারি।
বৃহস্পতিবার ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। ডানপ্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে এগিয়ে যান সানজিদা। নেপাল রক্ষণ পরাস্ত করতে পারেননি। পরের মিনিটে একই প্রান্ত থেকে গোলবার লক্ষ্যে দারুণ শট নেন লাল-সবুজদের নাম্বার সেভেন। হেডে প্রতিহত করে নেপালের রক্ষণ সেনানীরা।
ম্যাচের ২২ মিনিটে আক্রমণে যায় নেপাল। কর্নারের বিনিময়ে প্রতিহত করে বাংলাদেশ। কর্নার থেকে গোলের সুযোগ পায় অতিথি দেশ। দারুণভাবে প্রতিহত করেন গোলরক্ষক রুপনা চাকমা।
পরে ২৪ মিনিটে আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। নেপাল রক্ষণ ভাঙতে সক্ষম হননি অধিনায়ক সাবিনা। দুদলের বল দখলের লড়াইয়ে এগোতে থাকে খেলা। ৪১ মিনিটে বাংলাদেশ আক্রমণে যায়। কর্নারের বিনিময়ে প্রতিহত করে নেপাল। পাল্টা আক্রমণে গোল আদায়ের চেষ্টা করে সফরকারী দল। বক্স পর্যন্ত তাদের যেতে দেননি সাবিনা।
আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে চলতে থাকে লড়াই। দুদলই চেষ্টা করতে থাকে গোল আদায়ের। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য সমতায়।
মধ্যবিরতির পর ফিরে ৪৬ মিনিটে আক্রমণে যায় নেপাল। রুপনা চাকমার দৃঢ়তায় সে যাত্রায় ব্যর্থ হতে হয় দলটিকে। ৫৫ মিনিটে কর্নার পায় নেপাল। গোলের সুযোগ তৈরি হলেও তাদের রুখে দেয় লাল-সবুজের বাহিনী।
ম্যাচের ৬৪ মিনিটে বাংলাদেশকে লিড এনে দেন অধিনায়ক সাবিনা। রিপার বাড়ানো বল নিয়ে নেপালের দুই ডিফেন্ডারকে প্রতিহত করে বল জালে পাঠান অধিনায়ক। ৬৯ মিনিটে সমতায় ফেরার চেষ্টা করে নেপাল। বক্সের বাইরে থেকে নেয়া তাদের এক দুর্দান্ত শট সহজেই আটকে দেন রুপনা।
খেলার ৭৪ মিনিটে লিড বাড়ানোর সুযোগ আসে বাংলাদেশের সামনে। বল নিয়ে বক্সের মধ্যে দুজনকে পরাস্ত করেন সাবিনা। সামনে বাধা ছিল নেপাল গোলরক্ষক। সাবিনাকে দুর্দান্তভাবে আটকে দ্বিতীয় গোল হজম থেকে নেপালকে রক্ষা করেন আনজিলা।
সমতায় ফিরতে লড়ে যেতে থাকে নেপাল। আক্রমণও করে বেশ কয়েকবার। সফরকারীরা গোলের দেখা পায় যোগ করা সময়ে। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে সমতা ফেরান সাবিত্রি। শেষঅবধি ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় খেলা।