বাংলাদেশের ক্লাব বিএমটিসির দুই অভিযাত্রী এম এ মুহিত এবং কাজী বিপ্লব হিমালয়ের ২০ হাজার ৩’শ ফুট উঁচু দুর্গম চূড়া ‘ফার্চামো’তে সফলভাবে আরোহণ করেছেন। এই প্রথম কোন বাংলাদেশি হিমালয়ের দুর্গম ফার্চামো চূড়ায় আরোহণ করলেন।
‘ফার্চামো’ পর্বতশিখর অভিযানটি পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছে, এভারেস্টের দক্ষিণ-পশ্চিমে নেপালের রোলওয়ালিং হিমালয় অঞ্চলে ‘ফার্চামো’ পর্বতশিখরে সফলভাবে পৌঁছেছেন বাংলাদেশের দুইজন পর্বতারোহী। ‘ফার্চামো’ পর্বত চূড়ায় এর আগে আর কোনো বাংলাদেশি অভিযাত্রী পৌঁছাতে পারেননি।
অভিযানের দলনেতা এম এ মুহিত জানান, ‘২৬ অক্টোবর আমরা রামেছাপ এয়ারপোর্ট থেকে লুকলার উদ্দেশ্যে বিমানে চড়ি। ওইদিনই আমরা পৌছাই এভারেস্ট অঞ্চলের প্রবেশ দ্বার খ্যাত হিলারি তেনজিং এয়ারপোর্টে। সেদিন আমরা ট্রেকিং শুরু করি। বিকেলে পৌছাই মঞ্জো । ২৭ তারিখ আমরা যাই নামচে বাজার।। ২৮ তারিখ ছিলো বিশ্রাম। ২৯ তারিখ পৌছাই থামে। ৩০ রেস্ট ডে ছিলো। ৩১ তারিখ থ্যাংবো। ১ নভেম্বর আমরা ৪,৮০০ মিটার উচুঁ বেসক্যাম্প পৌছাই।’
তিনি বলেন, ২ তারিখে আমরা ৫ হাজার ৭’শ মিটার উচু তাশি ফুক হাই ক্যাম্পে যাই। হাইক্যাম্প থেকে ১০০ মিটার নীচে দলের সদস্য নিম্নির শরীর খারাপ করতে থাকে। পরে প্রধান শেরপা দাওয়া তেনজিং তাকে নিয়ে ফিরে যান। চিরিং ওয়াংচু শেরপা, ফুর কাঞ্চা শেরপা আমাদের সাথে হাই ক্যাম্পে যান। হাইক্যাম্প পৌছাতে দুপুর হয়ে যায়। ৩ নভেম্বর রাত সাড়ে তিনটায় হেডটর্চের আলোয় আমরা চূড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। আধ ঘণ্টা পরে ক্র্যাম্পন পয়েন্টে পৌঁছায় এবং মেইন রোপে দেড় ঘণ্টা থাকি।
মুহিত জানান, আমরা এগিয়ে যেতে থাকি। দীগন্তে ভোরের লাল আভা দেখার সময় ফ্রিক্সড রোপে আমরা জুমার লাগিয়ে আরোহণ শুরু করি। তিনটি কঠিন জায়গায় ১০০ মিটার দড়ি লাগানো ছিলো। জায়গাগুলো ৮০ থেকে ৯০ ডিগ্রি খাড়া ছিলো। ৬টার সময় জুমার শুরু করি যা শেষ হয় সকাল ৯টার দিকে। এরপর আমরা বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা চূড়ায় উড়িয়ে দেই।
২০ হাজার ৩’শ ফুট উঁচু ‘ফার্চামো’ পর্বতশিখর এভারেস্টের দক্ষিণ-পশ্চিমে নেপালের রোলওয়ালিং হিমালয় অঞ্চলে অবস্থিত। এই অভিযানের দলনেতা এম এ মুহিত দুই বার এভারেস্ট আরোহণ করেছেন। ‘ফার্চামো’ পর্বতশিখর অভিযানটি পরিচালনা করছে বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব এবং স্পনসর করছে ইসপাহানি টি লিমিটেড। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড ২০% ছাড়ে অভিযাত্রীদের ঢাকা-কাঠমুন্ডু-ঢাকা বিমান টিকিট দিয়েছে।