চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বাংলা হিপহপে বিশ্ব মাতাচ্ছেন এই বাঙালি তরুণ

বাংলা হিপহপ দিয়ে বিশ্ব মাতাচ্ছেন বাঙালি তরুণ শিল্পী ও প্রযোজক আতাউস চৌধুরী। এনএস নামেই বেশি পরিচিত যিনি। একই নামে আছে প্রোডাকশন হাউজ। তার প্রযোজনাতেই গত জুলাইয়ে প্রকাশিত হয়েছে প্রথম অ্যালবাম ‘শান্তারাম’।

অ্যালবামটিতে এনএস (আতাউস চৌধুরী) ছাড়াও গানের দল ও আর্টিস্ট আছেন ১১ জন। বিশাল আয়োজনের এই অ্যালবামটি প্রকাশের পর ইউটিউব সহ যুক্তরাজ্য ভিত্তিক বহু প্লাটফর্মে স্ট্রিমিং হচ্ছে। এই প্রযোজক ও শিল্পী জানান, অ্যালবামটি স্ট্রিমিং হওয়ার পর থেকেই বেশ সাড়া পাচ্ছি।

চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, ডেভিড রবার্টের লেখা ‘শান্তারাম’ নামে একটি উপন্যাস আছে। এই বইয়ের নাম থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই আমরা অ্যালবামটির নামকরণ করেছি। তিনি বলেন, এরআগে এতো বিশাল পরিসরে অ্যালবাম প্রকাশের ঘটনা বিরল।

অ্যালবামটি করতে গিয়ে বাঙালি শিল্পীদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের নামিদামি শিল্পীদের একত্র করার কাজটি শুরুতে সহজ ছিলো না। এরজন্য লেগে ছিলেন দীর্ঘদিন। আতাউস চৌধুরী জানান, অ্যালবামটির জন্য তিনি গত দুই বছর নিউক্যাসল আপন টাইনে যুক্তরাজ্যে কাটিয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছেন, এ কারণে অন্যান্য শিল্পীদের কাছে কৃতজ্ঞতাও জানান এই তরুণ।

আধুনিক বাংলা হিপহপ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এক ধরনের ফিউশন আছে ‘শান্তারাম’ এ। তিনি বলেন, অ্যালবামটিতে বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষাতেই গান আছে। তিনি বলেন, বিরামহীনভাবে সংগ্রাম, প্রতিবাদ, আশা এবং আধ্যাত্মিক জাগরণের একটি আখ্যানের কথাই গানে গানে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। বাংলাদেশের আধুনিক হিপহপ নিয়ে একটি নতুন পদক্ষেপের সূচনা।

‘শান্তারাম’ এর ১১ টি ট্র্যাকের এই অ্যালবামে এনএস ছাড়াও পারফর্ম করেছেন টি জেড, নিজাম রাব্বি, বিশাল করিম, শাহরুখ মাসনাদ, সেজান মাহমুদ, আসির আরিফ, এসটিএনএলএসএস, জিও (ইউকে গ্রাইম আর্টিস্ট), ১২৩০ ক্লাসিক, ম্যাড স্কোয়াবলজ এবং হেকভা মক্কা।

আতাউসের জন্ম ও বেড়ে উঠা ইতালিতে হলেও মনে প্রাণে তিনি একজন বাঙালি। বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বাস করছেন এই শিল্পী ও প্রযোজক। এরআগে লরি এসআরএল, ডিলিসিয়াস টিবিআইএফ -এর মতো কোম্পানির জন্য প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। মূলত এই প্রতিষ্ঠানগুলোর হয়ে কাজ করার কারণেই এনএস প্রোডাকশন প্রতিষ্ঠার অনুপ্রেরণা পান তিনি।

তিনি মনে করেন, ‘শান্তারাম’ বাংলাদেশি হিপহপ ও বিভিন্ন অঞ্চলের হিপহপ সংস্কৃতির মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে আনবে। তিনি বলেন, আগামিতেও বিভিন্ন দেশের শিল্পীদের নিয়ে এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।