ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস যথাযথ উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করেছে।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভা, চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতা, শিশুদের খেলাধুলা, কেককাটা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে ‘পাঠ চক্র’ ইত্যাদি আয়োজন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে হাইকমিশন প্রাঙ্গণ বর্ণাঢ্য ব্যানার, পোস্টার, রঙ্গীণ ফুল ও বেলুনে সুসজ্জিত করা হয়। এসময় হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় আলোচনা পর্ব। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। আলোচকরা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং জাতির পিতার জীবনের বিভিন্ন দিক বিস্তারিত তুলে ধরেন।
আলোচনা পর্বে হাইকমিশনার স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শিশুদের গড়ে তুলতে সকলের প্রতি আহবান জানান। পরে জাতির পিতার আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
হাইকমিশনার শিশু-কিশোরসহ সকলকে সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটেন। অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বিকেলে শিশু-কিশোররা ব্যানানা রেইস, ব্যালেন্স রেইস, ব্যাকওয়ার্ড রেইস, বল থুয়িং ইত্যাদি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় ছিল ভিন্ন ভাষাভাষী ৯ জন শিশু-কিশোরের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধু’র “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” থেকে বাংলা, উর্দু ও ইংরেজিতে ‘পাঠ চক্র’।
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থিমের ওপর দু’টি এইজ গ্রুপে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। রচনা প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল জুনিয়র গ্রুপের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু’ আর সিনিয়র গ্রুপের জন্য ‘সোনার বাংলা থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ’। সবশেষে সকল শিশুসহ বিজয়ীদের মধ্যে আকর্ষণীয় পুরষ্কার ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, পরিবারবর্গ, বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ ও শিশু- কিশোররা দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় অংশ নেন। অনুষ্ঠানে শিশুদের পছন্দের খাবার পরিবেশনসহ ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।