
খেলার নবম মিনিটেই ক্রেইগ গডউইন অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে নিলে শঙ্কা জাগে ফ্রান্স ডাগআউটে, বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট আর্জেন্টিনার পর বর্তমান চ্যাম্পিয়নরাও ধরাশায়ী হচ্ছে নাতো! সময় গড়াতে ফ্রান্স অবশ্য দাপট বাড়ায়। অস্ট্রেলিয়াকে নাকানিচুবানি খাইয়ে তুলে নিয়েছে ৪-১ গোলের বড় জয়।
বুধবার রাতে আল জানুব স্টেডিয়ামে আক্রমণ, গোলে শট এবং সবশেষ গোল ব্যবধানেও যোজন এগিয়ে ছিল দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা। ম্যাচের নয় মিনিটে পিছিয়ে পড়লেও এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ফ্রান্স। পরের অর্ধে দাপুটে ফুটবলে আরও দুবার বল জড়ায় প্রতিপক্ষ জালে। ফরাসিদের হয়ে দুটি গোল করেন অলিভিয়ের জিরুদ, বাকি দুটি গোল করেছেন আদ্রিয়েন রাবিওত ও কাইলিয়ান এমবাপে।
পুরো ম্যাচে অন্যসব বিভাগের মতো বল দখলেও দাপট দেখিয়েছে চ্যাম্পিয়নরা। ৬২ শতাংশ বল নিয়ন্ত্রণে রেখে ১৭টি শট নিয়েছে ফ্রান্স, যার সাতটি ছিল প্রতিপক্ষ গোলমুখে। বিপরীতে মোটে চারটি শট নিতে পারে অস্ট্রেলিয়া, গোলমুখে থাকা একটি শটই জালে জড়াতে পারে অজি দল।
শিরোপা ধরে রাখার মিশনে দেশমের দল ভুগছে চোট সমস্যায়। পল পগবা, এনগোলো কান্তে, প্রেসনেল কিমপেম্বের পর ছিটকে গেছেন ব্যালন ডি’অর জয়ী করিম বেনজেমাও। ফর্মেশন সাজাতে চিন্তায় পড়ে যাওয়া দেশমের কপালে বড় ভাঁজ ফেলে দেন গডউইন। খেলার নবম মিনিটে দারুণ এক প্লেসমেন্ট শটে অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে দেন।

ব্যবধান বেশি সময় ধরে রাখতে পারেনি অজিরা। ১৮ মিনিট পর ফ্রান্সকে সমতায় ফেরান রাবিওত। ম্যাচের ২৭ মিনিটে হার্নান্দেজের বক্সের ভেতর বাড়ানো বলে ক্ষিপ্রগতিতে মাথা ছুঁইয়ে দেন রাবিওত। পাঁচ মিনিট পর দলকে লিড এনে দেন জিরুদ৷ ৩৬ বর্ষী তারকার পঞ্চাশতম গোলটি রাঙাতে দ্বিতীয়ার্ধে আরও একবার জালে বল জড়ান।
২-১ গোলে এগিয়ে থাকা ফ্রান্স বিরতির পর আক্রমণের ধার বাড়ায়। উসমানে ডেম্বেলে, গ্রিজম্যানরা সুযোগ পেলেই ঢুকে পড়েন অজি রক্ষণে। ৬৮ মিনিটে মেলে আক্রমণের ফল। ডেম্বেলের ডান দিকে বাড়ানো ক্রসে মাথা ছোঁয়াতে ভুল করেননি এমবাপে। অজিদের দুই ডিফেন্ডারকে কাটানোর পর সহজেই পরাস্ত করেন গোলরক্ষক ম্যাথিউকে।
ম্যাচের ৭১ মিনিটে ফ্রান্সের ইতিহাসের পাতায় নাম লেখান জিরুদ। বর্ষীয়ান তারকা ছুঁয়েছেন ফরাসিদের হয়ে সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ড, ধরে ফেলেছেন থিয়েরি অঁরিকে। দুই তারকার গোলসংখ্যা এখন ৫১। বাকি সময়ে আরও কিছু সুযোগ তৈরি করতে পারলেও শেষটা ঠিকঠাক হয়নি। অজিদের বিপক্ষে ৪-১ গোলের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন এমবাপে-জিরুদরা।