ফাইনালে শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল ভারতের। রোহিতের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ছুটতে শুরু করে স্বাগতিক দল। ফিফটির কাছে গিয়ে ফেরেন রোহিত, তার আগে-পিছে গিল ও শ্রেয়াস ফিরলে কিছুটা চাপে পরে ভারত। পরে লোকেশ রাহুলকে সঙ্গী করে হাল ধরেন বিরাট কোহলি। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা কোহলি তুলে নেন আসরের ষষ্ঠ ফিফটি, করেছেন তিনটি সেঞ্চুরিও। এবার অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি, কামিন্সের শিকার হয়ে ফিরে গেছেন সাজঘরে।
২৬তম ওভারের প্রথম বলে জাম্পাকে লংঅনে ঠেলে ফিফটি পূর্ণ করেন কোহলি। ৫৬ বলে ফিফটি ছোঁয়া ইনিংসে ছিল চার চার। ২৯তম ওভারের তৃতীয় বলে কামিন্সের ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেছিলেন কোহলি। রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে মোকাবেলা করেও উইকেট বাঁচাতে পারেননি। ব্যাটে লেগে বল ভেতরে ঢুকে যায়, আঘাত হানে স্টাম্পে। ৬৩ বলে ৫৪ রানে ফিরে যান আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
আহমেদাবাদে এক লাখ ৩০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে রোববার অস্ট্রেলিয়া টসে জিতে ব্যাটে পাঠায় স্বাগতিক ভারতকে। অধিনায়ক রোহিতের মারকুটে ব্যাটিংয়ে শুরুটা দারুণ করে স্বাগতিক দলটি।
প্রথম ওভারে ভারতের ৩ রান এলেও জশ হ্যাজেলউডের পরের ওভারে কাভার দিয়ে চার মেরে দেন রোহিত। পরের বলে আরও একটি চার মেরে ফাইনালের চাপ থেকে বেড়িয়ে আসেন অধিনায়ক।
ওপেনিং জুটি ভাঙে ৩০ রানে। মিচেল স্টার্কের করা শর্ট লেংথের বলে রোহিতের মতো চড়াও হতে চেয়েছিলেন গিল। যেভাবে চেয়েছিলেন খেলতে পারেননি। গিলের পুল শটে বল যায় মিডঅনে থাকা অ্যাডাম জাম্পার হাতে। ৭ বলে ৪ রান আসে গিলের ব্যাটে।
অষ্টম ওভারে বল হাতে নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ম্যাক্সওয়েলের উপর চড়াও হন রোহিত। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে লংঅনের উপর দিয়ে মারেন ছক্কা। পরের বলে কাট করে মারেন চার। এরপর আবারও কিছুটা সামনে এসে তুলে মারতে যান রোহিত। বল বাতাসে ভাসে। কাভারে থাকা ট্রাভিস হেড দারুণভাবে তালুবন্দি করেন বল।
আউটের আগে ঝড়ো ইনিংসে ৩১ বলে ৪৭ রান করে যান রোহিত। ৪ চার ও ৩ ছয় মেরে যান অধিনায়ক।
ম্যাচের সংবাদ সম্মেলনে অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স বলেছিলেন গ্যালারি স্তব্ধ করে দিতে চান। বল হাতে সেটা করেন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। ম্যাচের ১০.২ ওভারে তুলে নেন শ্রেয়াস আয়ারের মূল্যবান উইকেট। জশ ইংলিশের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান শ্রেয়াস। ১ চারে ৩ বলে ৪ রান করে আউট হন। পরপর ২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়েছে কিছুটা চাপে পড়ে ভারত।