এশিয়া কাপ এবং ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব করবেন সাকিব আল হাসান, জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তামিম ইকবাল সরে দাঁড়ানোয় টাইগারদের ওয়ানডের নেতার জায়গাটি ফাঁকা হয়ে পড়েছিল।
বিসিবি সভাপতি শুক্রবার দুপুরে বলেছেন, ‘এশিয়া কাপ, ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজ, বিশ্বকাপে নিঃসন্দেহে আমাদের অধিনায়ক সাকিব। দীর্ঘমেয়াদে দেয়া হবে কিনা এ ব্যাপারে সাকিব ফিরলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।’
‘একসাথে তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব করলে যে পরিমাণ খেলা আমাদের, ওর উপর চাপ পড়বে। কাজেই ওর সাথে আসলে কথা বলে নিতে হবে। ওর সাথে কথা না বলে আপনাদের কিছু বলাটা কঠিন। আমাদের ওর দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা জানতে হবে।’
সাকিব এখন তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশের অধিনায়ক, গতবছর টেস্ট এবং টি-টুয়েন্টির অধিনায়ক হিসেবে তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নিয়েছেন।
তামিম ইকবাল চোটের কারণে ওয়ানডের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পর নতুন অধিনায়কের নাম জানাতে বেশ সময় নিলো বিসিবি। যদিও কালবিলম্ব করার বিষয়টি মানছেন না নাজমুল হাসান।
‘শেষ মুহূর্তে কেউ সিদ্ধান্ত নেয় নাই। এটা আপনারা ভাবছেন। আমাদের কোনো শেষ মুহূর্ত নাই। এটা সাকিবও জানে, আমরাও জানি, সবাই জানে। আমি তো জানি। আমাদের মধ্যে কোনো দ্বিধা ছিল না। আমি আগেই বলেছি সাকিব অবভিয়াস চয়েস।’
টাইগার অলরাউন্ডার ২০০৯ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ৪৯টি ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এরমধ্যে অধিনায়ক হিসেবে ২২টি ম্যাচে জয়ের স্বাদ পান। নিয়মিত চোটের সঙ্গে লড়াই করতে থাকা মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার পরিবর্তে দায়িত্ব পালন করেছিলেন সেসময়।
সাকিবের অধিনায়কত্বে ঘরের মাটিতে ২০১১ বিশ্বকাপে খেলেছিল বাংলাদেশ। সেবছরের আগস্টে জিম্বাবুয়ে সফরের পর তাকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। পরে ২০১৫ সালে দুটি ও ২০১৭ সালে একটি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
এবার আবারও ওয়ানডেতে দায়িত্ব পেলেন টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি দলের নেতৃত্ব চালিয়ে যাওয়া ৩৬ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। সাকিব এপর্যন্ত ১৯টি টেস্ট এবং ৩৯টি টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।