বাঁচা-মরার লড়াই আফগানিস্তানের। বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় তারা। শ্রীলঙ্কা তাদের লক্ষ্য দিয়েছে ২৯২ রানের। জিতলেও সামনে রয়েছে সমীকরণ। জিততে হবে ৩৭.১ ওভারে, তবেই আফগানদের মিলবে সুপার ফোরের টিকিট।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটের সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ওপেনারদের ভালো শুরুর পর কুশল মেন্ডিসের ৯২ রানে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ২৯১ রান সংগ্রহ করেছে লঙ্কানবাহিনী।
আফগানদের বিপক্ষে শুরুটা ভালোই হয়েছিল শ্রীলঙ্কার। দুই ওপেনার দিমুথ করুণারত্নে ও পাথুম নিশাঙ্কা প্রথম উইকেট জুটিতে তোলেন ৬৩ রান। ১০.২ ওভারে গুলবাদিন নাইবের বলে মোহাম্মদ নবীর ক্যাচ হয়ে ফেরেন করুণারত্নে। ৩৫ বলে ৩২ রান করে যান এ ওপেনার।
তিনে ব্যাটে নামেন কুশল মেন্ডিস। জুটি গড়ার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার নিশাঙ্কার সঙ্গে। ১৪.৪ ওভারে নাইবের দ্বিতীয় শিকার হন নিশাঙ্কা। নাজিবুল্লাহ জাদরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৪০ বলে ৪১ রান করে।
এক ওভার পর দলীয় ৮৬ রানে ফেরেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। নাইবের তৃতীয় শিকার হন গুরবাজের হাতে ধরা দিয়ে। ৮ বলে ৩ রান করেন।
চারিথ আশালাঙ্কাকে নিয়ে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১০২ রান তোলেন মেন্ডিস। ৩৩.২ ওভারে দলীয় ১৮৮ রানে রশিদ খানের শিকার হন আশালাঙ্কা। ৪৩ বলে ৩৬ রান করে ফেরেন তিনি। ৩৮.১ ওভারে লঙ্কানরা পঞ্চম উইকেট হারায়। দলীয় ২২১ রানে ফেরেন ধনঞ্জয়া ডে সিলভা। ১৯ বলে ১৪ রান করেন সিলভা।
এক ওভার পর রানআউট হন কুশল মেন্ডিস। সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে ফেরেন হতাশ হয়ে। ৮৪ বলে ৯২ করেন লঙ্কান উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। দুই বল পর রশিদের দ্বিতীয় শিকার হন দাসুন শানাকা। ফেরেন ৮ বলে ৫ রান করে।
এরপর দুনিথ ওয়াল্লাগে ও মাহেশ থিকসানা ইনিংস শেষ করেন। যদিও ইনিংসের শেষ বলে বোল্ড হন থিকসানা। ২৪ বলে ২৮ রান করে ফেরেন গুলবাদিনের চতুর্থ শিকার হয়ে। ৩৯ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন দুনিথ ওয়াল্লাগে।
আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন গুলবাদিন নাইব। রশিদ খান নিয়েছেন দুটি। এছাড়া মুজিব উর রহমান নেন একটি।